ইসলামে সালাম ও তার উত্তর দেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। সালাম অর্থ কেবল একটি শুভেচ্ছা নয়, এটি আল্লাহর একটি পবিত্র নাম, যার মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে ভালোবাসা, শান্তি, এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। মুসলিম সমাজে সালামের প্রচলন শুধু সামাজিক সৌহার্দ্যের জন্যই নয়, বরং এটি আখিরাতে সওয়াব অর্জন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি মাধ্যম। সালামকে একটি পবিত্র অঙ্গীকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা মুসলিমদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন এবং ভালোবাসা ছড়ানোর অন্যতম উপায়।
হাদীসে এসেছে যে, সালাম আল্লাহর একটি বিশেষ নাম, যা তিনি পৃথিবীতে মানবজাতির মধ্যে প্রচলন করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি সালাম দেয় এবং তা যদি গ্রহণ করা হয়, তবে তার মর্যাদা বাড়ে, কারণ সে সালামের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি সালামের উত্তর না দেয়, তবে আল্লাহ তার উত্তর দেবেন। অর্থাৎ, সালামের প্রতি সম্মান রাখা একটি ইসলামী দায়িত্ব। সালাম দেয়ার মাধ্যমে একে অপরকে শুভকামনা জানানো এবং শান্তির বার্তা পৌঁছানো ইসলামের অন্যতম মূল্যবোধ।
তবে, সালামের উত্তর না দিলে তা গুনাহ হিসেবে বিবেচিত হয় কি না, সে সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে, এটি স্পষ্ট যে, সালাম দেয়ার পর উত্তরের মাধ্যমে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ করা জরুরি। ইসলামে একে অপরকে শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তা দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সালামের উত্তর না দিলে সেই শুভেচ্ছার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। তাই, মুসলিমদের উচিত পরস্পরের মধ্যে সালামের চর্চা বাড়ানো এবং সালামের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো। আল্লাহ্ তা’আলা সবসময় তার সৃষ্টিকে সেরা উপায়ে প্রতিদান দেন।