Home Uncategorized নারীর জন্য মারাত্মক হুমকি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার

নারীর জন্য মারাত্মক হুমকি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার

দখিনের সময় ডেস্ক:
ক্যানসার এমন এক রোগ, যার পরিণতিতে মৃত্যুর শঙ্কা থাকে। নানা ধরনের ক্যানসারের মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার একটি এবং এই ক্যানসারটি সাধারণত স্ত্রীরোগঘটিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকে হয়ে থাকে। নারীস্বাস্থ্যের জন্য এই ক্যানসার অসম্ভব হুমকিস্বরূপ। বেশিরভাগ নারীই এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। এ কারণে যথাসময়ে ক্যানসার শনাক্ত ও চিকিৎসা নিতে দেরি করে ফেলেন। ক্যানসার নির্ণয় পদ্ধতি : এ ক্যানসার নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তা হলো-
ডায়াগনস্টিক কিউরাটেজ : এ ক্যানসার নির্ণয়ে কিউরাটেজ একটি অপরিহার্য পরীক্ষা পদ্ধতি। এ পরীক্ষায় সাধারণত প্রথমে সার্ভিক্যাল ক্যানাল এবং পরবর্তীকালে জরায়ুগহ্বর পরীক্ষা করা হয়। পরে জরায়ুগহ্বরের ভেতরে অবস্থিত স্ক্রেপিং এন্ডোমেমব্রেন চিহ্নিত করার পর স্যাম্পল বোতলে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার নির্ণয়ের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
হিস্টেরোস্কপি : আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জরায়ুগহ্বর ও ক্যারোটিড ক্যানাল আরও ভালোভাবে নিরীক্ষণ করতে পারে। হিস্টেরোস্কপি পরীক্ষার সাহায্যে চিকিৎসকরা সরাসরি টিউমারের স্থান, আকার, টিউমারের এক্সোজেন বা এন্ডোজেন টাইপ এবং সার্ভিক্যাল ক্যানাল পর্যন্ত প্রভাবিত হয়েছে কিনা, পর্যবেক্ষণ করেন। সরাসরি রোগ নির্ণয় বা পরীক্ষার জন্য ক্ষত থেকে টিস্যু নিয়ে হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এ পদ্ধতিতে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার নির্ণয়ের সফলতা ৯৪ শতাংশেরও বেশি।
জরায়ুগহ্বর টিউব : এটি এক ধরনের ব্রাশের মতো, যেটির সাহায্যে জরায়ুগহ্বরের ভেতর থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থ শোষণ করে সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রেরিত হয়। বি-আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা : এটি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের অতিপ্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি। জরায়ু আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জরায়ুর গহ্বরের আকার, আকৃতি, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের অবস্থান এবং তা জরায়ুর সেরোসার মধ্য দিয়ে সার্ভিকাল ক্যানাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে কিনা, মায়োমেট্রিয়াল আক্রমণ এবং ক্লিনিকাল পর্যায় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
সিটি স্ক্যান : এটি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার নির্ণয়ের উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে টিস্যুর গঠন, টিউমারের আকার, অবস্থা নির্ণয় করা যায়। সিটি স্ক্যানের সাহায্যে পার্শ্ববর্তী জরায়ুর টিউমারের মধ্যে যোজক কলা, পেলভিস এবং প্যারা-মহাধমনীর লসিকাগ্রন্থিতে ক্যানসার টিস্যু ছড়িয়ে পড়েছে কিনা, তা নির্ণয় করা যায়। কাজেই রোগের শুরুতেই এ রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

মাথার উপর অনেক চাপ? ভরসা হবে ‘সেকেন্ড ব্রেন’

দখিনের সময় ডেস্ক: মাথার উপর অনেক চাপ নিয়ে আছেন? বাজারে এসেছে সেকেন্ড ব্রেন! সেকেন্ড ব্রেন কোনও চিপ নয়। অপারেশন করেও একে শরীরে বসাতে হবে না।...

ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?

দখিনের সময় ডেস্ক: ফেসবুকে নিজের বা বন্ধুর প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে ‘নো পোস্ট অ্যাভেইলেবল’। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক ব্যবহারকারী। তাহলে কী...

এবার হোয়াটসঅ্যাপে এআই, যেভাবে কাজ করবেন

দখিনের সময় ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বে প্রতি মুহূর্তে কয়েকশ কোটি বার্তা আদান প্রদান হচ্ছে এই মেসেজিং অ্যাপে। তাই তো ব্যবহারকারীদের...

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

দখিনের সময় ডেস্ক: শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা...

Recent Comments