বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করার অভ্যাস করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, সাধারণ পানি ছাড়াও কুসুম গরম পানি পানের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা? স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসটি অনুসরণ করে থাকেন, কারণ এতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে, শীত বা গ্রীষ্ম যাই হোক না কেন, কুসুম গরম পানি পান করার কোনো ক্ষতি নেই। তবে, খুব বেশি গরম পানি খাওয়া উচিত নয়; ঈষদুষ্ণ বা কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।
ডায়েটেশিয়ানরা বলেন, কুসুম গরম পানি নিয়মিত পান করলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, ব্লাড সার্কুলেশন উন্নত করে, হজম শক্তি বাড়ায়, এবং বুকব্যথা ও সর্দিকাশি হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কুসুম গরম পানি প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কার্যকর।
আপনি কি জানেন, কুসুম গরম পানি পান করলে ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা সহজে পড়তে পারে না? যারা দুশ্চিন্তা বা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, অথবা মুখে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনি এক মাসের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীর এবং মনকে সতেজ ও স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করবে।