• ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় পতিতালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ১৩৯ নারী-পুরুষ আটক

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় পতিতালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ১৩৯ নারী-পুরুষ আটক
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১৩টি অবৈধ পতিতালয় ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানায় একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১৩৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১২ জন নারী এবং ২৭ জন পুরুষ। আর আটক ১১২ নারীর মধ্যে ৪৩ জনই বাংলাদেশি। এছাড়া, ৪২ জন ইন্দোনেশিয়া, ১৭ জন ভিয়েতনাম, ৮ জন মিয়ানমার এবং একজন করে ভারত ও নেপালের নাগরিক। অভিযান চলাকালে জালান পেতালিং এলাকায় বিদেশি যাত্রীসহ একটি গাড়ি পালানোর চেষ্টা করলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সেটিকে ধাওয়া করে গতিরোধ করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুয়ালালামপুরের বিদেশি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত জালান পেতালিং, জালান ইম্বি এবং জালান পুডুতে এই সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। খবর নিউ স্ট্রেইট টাইমস ও দ্য সান মালয়েশিয়ার। ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বাসরি ওসমান জানান, মোট ২০৫ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৩৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এছাড়া, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জন স্থানীয় (মালয়েশিয়ান) পুরুষকেও আটক করা হয়েছে, যারা আস্তানাগুলোর কেয়ারটেকার বা ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে কাজ করত।
ইমিগ্রেশন বিভাগের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা গেছে, শিফটভিত্তিকভাবে পতিতালয়গুলো দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকত। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা— এই দুই শিফটে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত। গ্রাহকদের জন্য কোনো অগ্রিম বুকিংয়ের প্রয়োজন হতো না। বিদেশি ও স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য সর্বনিম্ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৬০ রিঙ্গিত। ধরা পড়ার ঝুঁকি এড়াতে অভিযুক্ত নারীদের কাজের জায়গায় রাখা হতো না। তাদের জন্য আলাদা জায়গায় ঘর ভাড়া করা হয়েছিল। ভবনের ভেতরে দেয়াল তুলে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল ছোট ছোট গোপন কক্ষ।
আটক সব বিদেশি নাগরিককে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ডিপো, বেরানাং এবং সেমেনয়িহ ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশটির অভিবাসন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।