Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি কড়াপুরের দুই মাদক কারবারীকে বাঁচাতে ঢাকায় জোর লবিং

কড়াপুরের দুই মাদক কারবারীকে বাঁচাতে ঢাকায় জোর লবিং

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের দুই মাদক কারবারীকে বাঁচাতে ঢাকায় জোর লবিং চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরীক্ষাগার। সূত্রমতে, বরিশালে মাদকের গড ফাদারদেরকে ধরা ছোয়ার বাইরে রাখার জন্যই দুই কারবারীকে বাঁচাবার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ২২ জুলাই রাতে বিএমপি’র গোয়েন্দা পুলিশের শক্তিশালী এক অভিযানে পপুলার এলাকার দুই মাদক কারবারী মো: মিঠু ও সজীব ধরা পড়ে। তবে এ অভিজানের মূল টার্গেট রিয়াজ সর্দার ধরা পড়েনি। সূত্র বলছে, পুলিশী ফাঁদে খুব কাছে এসেও আটককৃত মিঠুর ‘মিসকল সিগনালে’ সটকে পড়ে রিয়াজ। এরপরও গোয়েন্দা পুলিশের এই অভিযান এলাকায় বিশেষ আস্থা সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু এক দিনের মধ্যেই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরাপড়া সজীব মুক্তি পাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের উপর এলাকায় জন-আস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য অনেকের।
রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে গত ২২ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই (গোয়েন্দা) শাখা মো: নজরুল ইসলাম। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন এসআই দেলোয়ার। উল্লেখিত অভিযানে তিনজন আটক হলেও মামলা হয়েছে মো: মিঠু হাওলাদার(২২) ও মো: রিয়াজ সরদার (৩৮)-এর বিরুদ্ধে। এরমধ্যে রিয়াজকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বিমানবন্দর থানা মামলা নং-০৮, তারিখ: ২২/৭/২০২০।
সূত্র বলছে, রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের মাদক কারবারের স্থানীয় গড ফাদারের প্রধান সহকারী হবার কারণেই ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ আইনি প্রক্রিয়ায় ছাড় পেয়েছে সজীব। এলাকার সাবেক সর্বহারা নেতা ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি বাবার সুবাদে এই গডফাদারের হাত অনেক লম্বা। এই গডফাদারের নামও সজীব। এই গডফাদার মাঝেমধ্যে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।
সূত্র বলছে, ডিবির হাতে ধরা পড় সজীবকে এক দিনের মধ্যে ছাড়াবার সাফল্যের পর মো: মিঠু হাওলাদার ও মো: রিয়াজ সরদারকে বিচারের মুখোমুখি হবার হাত থেকে বাঁচাবার অপচেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান করণীয় হচ্ছে, গ্রেফতারকৃত আসামী মিঠুর কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ইয়াবাকে পরীক্ষায় অন্যকিছু প্রমান করা। এটা করা গেলেই গোয়েন্দা পুলিশের মাদক মামলা আদালতে খারিজ হয়ে গিয়ে দুই আসামী খালাস পাবার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।
বিমানবন্দর থানা গত ২২ জুলাই দায়েরকৃত ০৮ নং মামলায় দুজনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে মিঠুকে আটক এবং রিয়াজকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এদিকে পুলিশের খাতায় মো: রিয়াজ সরদার (৩৮) পলাতক হলেও সে এলাকায় প্রকাশ্যে রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। একই সাথে চলছে তার মাদক ব্যবসাও। অবশ্য ‘পলাতক’ রিয়াজকে ধরার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ একাধিকবার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য! এ ব্যাপারে একটি সূত্র জানিয়েছে, পেশাদার সোর্স ইচ্ছাকৃতভাবেই গোয়েন্দ পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক তথ্য গুরুত্বপূর্ণ: ডক্টর আবদুল মালেক

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক বলেছেন, শুদ্ধ ও প্রকৃত তথ্য জনগণের জন্য আবশ্যক। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিকল্পে সঠিক তথ্য প্রদান গুরুত্বপূর্ণ...

নিয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৪ মে থেকেই আবেদন নেওয়া...

ডিএফপির মহাপরিচালক হলেন আকতার হোসেন

দখিনের সময় ডেস্ক: চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের (সংযুক্ত) মহাপরিচালক (গ্রেড-২) আকতার হোসেন। মঙ্গলবার(১৪ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের...

র‍্যানসমওয়্যার হামলায় মুক্তিপণ দেওয়ার হার বেড়েছে

দখিনের সময় ডেস্ক: র‍্যানসমওয়্যার হামলায় মুক্তিপণ দেওয়ার হার গড়ে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে র‍্যানসমওয়্যার সাইবার হামলায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ৪ লাখ থেকে ২০...

Recent Comments