
দখিনের সময় ডেক্স:
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা ঘটনায় আটক জাহাঙ্গীর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ২০১৭ সাল থেকে তিনি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
শুক্রবার (৪সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৩ অধিনায়ক আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী চুরি করতেই ইউএনওর সরকারি বাসভবনে একাই প্রবেশ করেছিলেন নবীরুল। কিন্তু তার উপস্থিতি টের পেয়ে যান ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী। এসময় সঙ্গে থাকা হাতুড়ি দিয়ে তাদের দুজনকে একের পর এক আঘাত করে নবীরুল। এরপর বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যায় হামলাকারী। র্যাব-এর জিজ্ঞাসাবাদে একথা স্বীকার করছেন আসাদুল।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক দু’জনই মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। জাহাঙ্গীরের নামে পৌর মেয়রকে হত্যাচেষ্টা, জমিজমা দখল ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়া জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ একটি দল জাহাঙ্গীরকে নিজ বাসা থেকে আটক করে। আর ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আসাদুলকে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত তিনটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের ইউএনও’ সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমকে আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩রা সেপ্টেম্বর) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর, রাতেই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Post Views:
৫৭