দখিনের সময় ডেস্ক:
বগুড়ার এক ছোট্ট গ্রামে রতন নামে এক যুবক মনে করত, সে নিখুঁত ঝালমুড়ি তৈরির গোপন রহস্য আবিষ্কার করেছে। যে-ই শুনত, তাকেই সে বলত, “এই ঝালমুড়ি আমার সোনার হাঁড়ি! একদিন নোবেল জিতব!” তার ‘গোপন উপাদান’? এক চিমটি চা মসলা।
একদিন রতন ঠিক করল, স্থানীয় হাটে তার ঝালমুড়ি বিক্রি করবে। সাহসী দাবি নিয়ে হাজির হল সে: “এইটা খেলে বিরিয়ানিও ভুলে যাবেন!” এক কৌতূহলী মামা এসে এক চামচ মুখে দিয়েই কাশতে শুরু করলেন। “রে বাবা, এটা ঝালমুড়ি না, আগুন!” চিৎকার করতে করতে চোখে পানি এসে গেল তার।
রতন কিন্তু দমার পাত্র না। গর্ব ভরে ঘোষণা করল, “ঝাল খাবার মানুষকে শক্তিশালী করে!” তবে তার স্টল ফাঁকা হয়ে গেল ঠিক লোডশেডিংয়ের সময়ের মতো। পরে, একা বসে বাকি ঝালমুড়ি নিয়ে, রতন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “পরেরবার নাম দেব ‘ফিটনেস মুড়ি’—স্বাস্থ্যসচেতন নাম দিলে মানুষ খেতে ছুটে আসবে!”
গ্রন্থনা – Ilham Jaman