• ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিষ্টির দারুণ কাণ্ডকারখানা

দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১৫:১৫ অপরাহ্ণ
মিষ্টির দারুণ কাণ্ডকারখানা
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
ঢাকার কাছের এক সরব গ্রামে থাকত শান্তু, যে ছিল অলসতার জীবন্ত উদাহরণ আর মিষ্টির প্রতি তার ভালোবাসার কথা তো সর্বজনবিদিত। শান্তু সারাদিন গ্রামের বটগাছের তলায় বসে কাজ ফাঁকি দেওয়ার নতুন নতুন বুদ্ধি বের করত। একদিন সে শুনল গ্রামের মিষ্টির দোকানের মালিক জামাল চাচা এক গোপন রসগোল্লার রেসিপি নিয়ে গর্ব করছেন। চাচা বললেন, এই রসগোল্লা একবার খেলে সব দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়ে যায়! শান্তু ভাবল, এই জিনিস যদি তার হাতে আসে, তাহলে জীবনটা তো বেশ মজা হয়ে যাবে।
রাতের আঁধারে শান্তু জামাল চাচার রান্নাঘরে হানা দিল। অনেক খুঁজে সে একটা খাতা নিয়ে পালাল, যেটাকে সে রেসিপি মনে করেছিল। কিন্তু পালানোর তাড়াহুড়ায় সে গরম সিরার হাঁড়িতে হলুদ ঢেলে পুরোটা নষ্ট করে দিল। সকালে চাচা উঠে দেখলেন, সিরা নষ্ট আর তার প্রিয় খাতা উধাও। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে তিনি ঘোষণা করলেন, “আমার রসগোল্লায় অভিশাপ দিয়েছে এমন একজন চোর, যার স্বাদ-বোধ শূন্য!”
ওদিকে শান্তু খাতাটা খুলে দেখল, সেখানে রসগোল্লার রেসিপি নেই, বরং চাচার লেখা গ্রামের গসিপ! তবু সে হাল ছাড়ল না। নিজের মতো করে রসগোল্লা বানানোর চেষ্টা করল, কিন্তু রেসিপি ভুলে চিনি না দিয়েই। মেলায় সেই “বিশেষ রসগোল্লা” পরিবেশন করার পর প্রথম কামড়েই লোকজন পুকুরের দিকে দৌড় লাগাল মুখ ধুতে। পুরো গ্রামে হাসির রোল পড়ে গেল। সবাই শান্তু নিয়ে এমন ঠাট্টা শুরু করল যে সে কয়েক মাসের জন্য গাছে বসা বাদ দিয়ে লুকিয়ে থাকল। আর জামাল চাচার দোকানে ভিড় বাড়ল, কারণ সবাই বুঝল আসল রসগোল্লার দাম। আর শান্তু? সে সিদ্ধান্ত নিল, মিষ্টি বানানো তার কাজ নয়—খাওয়া ঠিক আছে, তবে যত দূর সম্ভব দোকান থেকেই!

গ্রন্থনা – ইলহাম জামান রূপম