বাংলাদেশের এক ছোট্ট গ্রামে বাস করতো কালাম, যার জীবনের দুই প্রধান ভালোবাসা ছিল: চায়ের দোকানে আড্ডা মারা আর ভাপা পিঠা খাওয়া। এক শীতের সকালে, কালাম চায়ের দোকানে গিয়ে দেখলো পিঠাওয়ালা মুন্নার ঠেলাগাড়ি একেবারে খালি—না কোনো ধোঁয়া, না পিঠার মনমাতানো গন্ধ, কেবল একটা শূন্য হাঁড়ি। মুন্না জানালো, সে তার বিবাহবার্ষিকী ভুলে যাওয়ায় তার স্ত্রী রেগে গিয়ে সব চালের গুঁড়া লুকিয়ে রেখেছে। এই খবর শুনে কালামের মনে যেন শীতকালটাই মলিন হয়ে গেল।
কিন্তু কালাম সহজে হার মানার মানুষ নয়। সে তার চায়ের দোকানের বন্ধুদের নিয়ে শুরু করলো “মহান পিঠা উদ্ধার অভিযান”। রাতের অন্ধকারে তারা মুন্নার রান্নাঘরে চুপিচুপি ঢুকলো, হাতে টর্চ আর বড়সড় একটা হাঁড়ি। তবে এদের গোপন মিশন ছিল পুরোটাই ভাঁড়ামো। এক বিড়াল হাঁড়ি ফেলে দিল, প্রতিবেশীর বাচ্চা কেঁদে উঠলো, আর শেষে মুন্নার স্ত্রী জেগে গেলেন। কালামকে চালের গুঁড়ার ব্যাগ নিয়ে ধরা পড়তে দেখে তিনি এত হাসলেন যে নিজের হাতেই পিঠা বানিয়ে সবাইকে খাওয়ালেন। সেই মিশনের সমাপ্তি হলো চা, হাসি আর পিঠার উৎসবে।
এরপর থেকে কালাম গ্রামে পরিচিত হয়ে গেল “পিঠার ফিসফিসে গুরু” নামে। গ্রামের মানুষ আজও তাকে মজা করে জিজ্ঞেস করে, “কালাম ভাই, আবার কোনো মিশনে যাচ্ছেন নাকি?” আর কালাম গর্বভরে উত্তর দেয়, “নায়করা কখনো অবসর নেয় না। শুধু পরের অ্যাডভেঞ্চার বা পিঠার ঘাটতির জন্য অপেক্ষা করে!”