সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ঘোষণা দিয়েছে, বাশার আল-আসাদের শাসনামলে গঠিত কুখ্যাত নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্ত করা হবে এবং সব কারাগার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্রোহী নেতা আহমাদ আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত, জানিয়েছেন যে কারাগারে বন্দিদের নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের শাসনামলে আসাদ পরিবার সিরিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম নিপীড়ক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে নতুন প্রশাসনের নেতৃত্বে আসাদ সরকারের নিপীড়নের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে।
আসাদ সরকারের পতনের পর বিদ্রোহীদের এই পদক্ষেপ সিরিয়ানদের মধ্যে একদিকে আশার আলো জ্বালিয়েছে, অন্যদিকে কারাগারে আটক থাকা হাজার হাজার বন্দির পরিবারের জন্য অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এই কারাগারগুলোতে বন্দিদের ওপর চালানো নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলের নজরে ছিল। জোলানি জানিয়েছেন, বন্দিদের নিপীড়নে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে এনে সিরিয়ায় বিচার করা হবে।
চলতি সপ্তাহে বিদ্রোহীদের অভিযানে আসাদের সরকারের পতনের মাধ্যমে সিরিয়ার ১৩ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান হয়েছে। বিদ্রোহীরা প্রতিশোধ এড়িয়ে দেশকে স্থিতিশীল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে। নতুন প্রশাসন সিরিয়াকে নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়েও কাজ করছে। বিশ্ববাসীর চোখ এখন তাদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের দিকে।