• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসাদের পতনে ইসরায়েলের হাতে চলেগেলো সিরিয়া, ইহুদি সেনারা প্রবেশ করেছে বাফার জোনে

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ণ
আসাদের পতনে ইসরায়েলের হাতে চলেগেলো সিরিয়া, ইহুদি সেনারা প্রবেশ করেছে বাফার জোনে
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
গাজা-লেবাননের পর এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার সিরিয়া। কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আর বাধা ছাড়াই ৫০ বছর আগের চুক্তি ভেঙে ইহুদি সেনারা প্রবেশ করেছে বাফার জোনে। একদিনেই তিন শতাধিক হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। গত এক বছর ধরে সীমিত আকারে হামলা হলেও, এর আগে কখনও এত বড় পরিসরে দেশটিতে বর্বরতা চালায়নি ইসরায়েল। এখন সিরিয়ায় নেই ইরানের সামরিক উপস্থিতি। অকার্যকর দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। আর তাই ইসরায়েলকেও ঠেকানোর কেউ নেই। এই সুযোগে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ ও নিন্দা উপেক্ষা করেই দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর সেনারা। যেভাবে বিনা বাধায় সিরিয়ার ভূখণ্ডে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল, তাতে প্রশ্ন উঠছে- তবে কি বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়াকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দিলো বিদ্রোহীরা।
সবশেষ ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছাড়াও হোমস, তারতাস, পালমিরা, লাতাকিয়া, দেইর আজোরের মতো শহরে অন্তত ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির যুদ্ধজাহাজ, বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা। এই সময়ে সিরিয়ার ১৪টি প্রদেশের ১৩টিতে হামলা চালায় ইসরায়েল। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বাশারা বলেন, সাপ কেন ছোবল দেয়? কারণ- এটাই তার ধর্ম। ইসরায়েলের ধর্মও এমন। একারণেই তারা সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে। গাজা এবং লেবাননের দিকে দেখুন। নিজের নিরাপত্তার কথা বলে তারা এসব অঞ্চলে বোমা হামলা করছে, ধ্বংসযজ্ঞ এবং গণহত্যা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের জন্য বড় ঝুঁকি সিরিয়া। এ কারণেই তারা এখন সিরিয়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় কৌশলগতভাবে বেশ সুবিধাই হয়েছে ইসরায়েলের। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান রীতিমতো বিতারিত হয়েছে দেশটি থেকে। সিরিয়া ছিল ইরানের হিজবুল্লাহসহ প্রক্সি গ্রুপগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের অন্যতম রুট। এদিকে, সিরিয়ার কাছ থেকে দখলকৃত গোলান মালভূমি ও মূল ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য দেশটি কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইসরায়েলের কাছে। পাশাপাশি সিরিয়ার ওপর তেলআবিবের প্রভাব থাকলে ইরানের কাছে থেকে অস্ত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে হিজবুল্লাহর। এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়া সরকারের পতনের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করছে ইরান। অভিযোগ, বাশার আল আসাদের পতনে তাদের ষড়যন্ত্রের প্রমাণও পেয়েছে তেহরান।