বর্তমান সরকারের কোনো সাফল্য ঘটনা-দুর্ঘটনা জনগণকে নির্বাচন আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরাতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো কিছুকেই নির্বাচনবিরোধী ঢাল হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নয়। এমনকি আমেরিকায় পণ্য প্রেরণের শুল্কহার হ্রাসের অকল্পনীয় সাফল্যের সঙ্গে আরও অনেক কিছু যোগ হলেও তা নির্বাচন থেকে দেশকে দূরে রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথার্থই বলেছেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।’
বাংলাদেশের ট্যারিফ আলোচক দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। দেশের বোদ্ধা জনগোষ্ঠীও অভিন্দন জানাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টাকে। কারণ তার পরিকল্পনায়ই দেশের জন্য এমন বিশাল অর্জন হয়েছে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য স্মরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এখন একটি অভূতপূর্ব সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করে স্বর্ণাক্ষরে লেখার মতো আরেকটি চিরস্মরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসকে। তা না হলে তিনি নিজে এবং দেশ মহা-অশান্তিতে পড়বে। কোনো কারণে ড. ইউনূস নির্বাচনের পথ এড়িয়ে চলতে চাইলে সেটি হবে পথ হারানোর নামান্তর। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া আর কোনো তাবিজ-কবজ অথবা বাহানা কাজে আসবে না।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ১৮ আগস্ট ২০২৫। শিরোনাম, ‘নির্বাচনী ট্রেন প্রসঙ্গে কিছু কথা’