• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা মায়ের ভোগে গেছে, একই পথে এগোচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছও!

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ
শিক্ষা মায়ের ভোগে গেছে,  একই পথে এগোচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছও!
সংবাদটি শেয়ার করুন...
আলম রায়হান:
মাছ নিয়ে প্রধানত দুটি প্রবচন আছে। এক. ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। দুই. ‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’। দ্বিতীয় প্রবচনের প্রথম অংশটি হচ্ছে, ‘লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে’। ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবচনটি ইতিহাসের পাতায় লিখিত হওয়ার পরিণতির দিকে ধাবমান। আর ‘লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে’—মাথার ‘তার’ পুরোটা ছেঁড়া না থাকলে এই বাক্য কেউ উচ্চারণ করবে না, বিবেচনায় নেওয়া তো অনেক দূরের বিষয়। এ প্রবচনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে বহু আগে থেকেই শিশুদের শেখানো হয়ে আসছে, ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে।’
ইংরেজরা এ দেশে আসার পর এই প্রবাদ প্রচলিত হয়েছে। সেই সময় কলকাতার বাবুরা সন্ধ্যার পর ধুতি-পাঞ্জাবি পরে গায়ে উৎকট সুগন্ধি মেখে বেরিয়ে পড়তেন জুড়িগাড়ি করে। কোথায় যেতেন তা ইতিহাসের অন্ধকার পাতায় লেখা আছে। অনেকেই বলেন, লেখাপড়া নিয়ে ইংরেজদের সময় চালু হওয়া প্রবচন জাতির মননের বারোটা বাজিয়েছে। এদিকে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে লেখাপড়ার সর্বনাশ হয়েছে। যে সর্বনাশকে পৈশাচিক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আরও কয়েক ধাপ ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছেন। যেখান থেকে ফেরার কোনো চেষ্টা মোটেই দৃশ্যমান নয়। আর জুলাই আন্দোলনে অকল্পনীয় বিজয়ের পর ছাত্রদের মুকুটে ‘নিয়োগকর্তা’ পালক এবং পরবর্তী ঘটনাবলি ধারায় সিনেমার ডায়ালগের অনুকরণে বলা যায়, ‘শিক্ষা মায়ের ভোগে গেছে!’ একই পথে সম্ভবত এগোচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছও।
এ ক্ষেত্রে অবশ্য বিগত সরকার আমলে নেওয়া একটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে শামুকও যুক্ত আছে। প্রকল্পটির পুরো নাম, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ৪ সেপ্টেম্বর আগস্ট ২০২৫। শিরোনাম, ‘দেশি মাছ ধ্বংস বনাম রক্ষা প্রকল্প’