প্রশ্ন হচ্ছে, মাছের উৎপাদন কি যথেষ্ট? মাথাপিছু ভোগ কি প্রয়োজন অনুযায়ী হচ্ছে? মাছের দেশীয় জাত বিলীন হওয়ার কারণ কী? কী কারণে ইলিশের এত দামের? মাছের ঘাটতি সত্ত্বেও মাছ রপ্তানি করা কি সংগত? আছে আরও অনেক প্রশ্ন। সমাধান কী? এদিকে সমুদ্রের মাছ নিয়ে ভাবা হয়। বন্ধ থাকে মাছ আহরণও। কিন্তু অভিযোগ আছে, আমরা যখন বন্ধ রাখি তখন আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র সমানে ধরে। মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় নদীতেও। হাওরের জন্যও এমন বিধান আছে। কিন্তু এর বাইরে অসংখ্য খাল, যার দৈর্ঘ্য শত শত কিলোমিটার। সঙ্গে আছে অন্যান্য জলাশয়। কিন্তু এদিকে কারও নজর নেই।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে আমাদের দেশে যে বিশাল মৎস্যভান্ডার ছিল, তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। নদী-খাল-বিলের মাছ যেমন অতি আহরণে ধ্বংস হচ্ছে তেমনই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফসলে প্রয়োগকৃত কথিত বালাইনাশকের মারাত্মক বিষে। শুধু তাই নয়, এই বিষ প্রয়োগের ধারা পুরো পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ নিয়ে পরিবেশ ব্যবসায়ীরা চুপ থাকবেন, এটি সহজেই বোধগম্য। যেমন বিড়ি-সিগারেট-তামাক নিয়ে তারা কোনো রা করেন না। কিন্তু পরিবেশবিদরা মুখে কুলুপ এঁটে আছেন কেন? আর কথিত বালাইনাশক প্রসঙ্গে কেন কিছু বলছেন না আমাদের বাকপটু পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান! যদিও বললেইবা কী!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ৪ সেপ্টেম্বর আগস্ট ২০২৫। শিরোনাম, ‘দেশি মাছ ধ্বংস বনাম রক্ষা প্রকল্প’