• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদরাসা শিক্ষকের গরুর খামার, বছরে আয় ২৫ লাখ টাকা

দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ২০:০২ অপরাহ্ণ
মাদরাসা শিক্ষকের গরুর খামার, বছরে আয় ২৫ লাখ টাকা
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দিনাজপুর সংবাদদাতা:
মাদরাসা শিক্ষক জাকিরুল ইসলামদুটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন ২০১০ সালে। বছর পাঁচেক পর আধুনিক শেড তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে খামার তৈরি করেন। এখন খামারে ফ্রিজিয়ান ১১৫টি গাভি আছে। এখান থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। খামার থেকে বছরে আয় ২৫ লাখ টাকা। এদিকে খামারের গরু লালন-পালনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মকন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মাঠের মাঝখানে দেখা মিলবে জাকিরুল ইসলামের খামারের। খামারের প্রবেশ মুখ দেখলে কিছু মনে না হলেও খানিকটা ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে শতাধিক গরুর একটি বিশাল খামার। খামারটির মালিক মাদরাসা শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম। তার চলার পথটা সহজ ছিলো না। শুরুর দিকে বেশ কয়েকবার হোঁচট খেয়েছেন। তবে দমে যাননি।
ইউটিউব দেখে পরিবারের পরামর্শ নিয়ে ২০১০ সালে দুইটি দেশি গরু দিয়ে শুরু করেন সখের খামার। এখন তার খামারে বিদেশি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ১১৫টির বেশি। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয় এই খামারে। শুধু গরু লালনপালন নয়, এর-পাশাপাশি তিনি ভেড়াও পালন করছেন। এখান থেকে তার বাৎসরিক আয় ২৫ লাখ টাকা।
বিরামপুরের গরু খামারি জাকিরুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে সাড়ে ১০ বিঘার জমির ওপর আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে খামারটি। গরু চুরি থেকে রক্ষা করতে নেওয়া হয়েছে করা নজরদারি। খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা গরুগুলোকে সময় মত খাবার দেওয়া, গরুর যত্ন নেওয়াসহ খামারের বিভিন্ন কাজের জন্য রাখা হয়েছে ৬ জন শ্রমিককে। খর ও ঘাস কাটার জন্য রয়েছে ১টি মেশিন। পাশাপাশি তার খামারে কয়েকজন বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। জাকিরুলের খামারটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকেই।
এদিকে বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিরামপুর উপজেলাতে ছোট-বড় ৫২২টি গরুর খামার রয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুধের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুধ সরবরাহ হচ্ছে। খামারের গরু পালনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।