স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ের পরে স্বামীর সংসারে সুখে রাখার তাবিজ ও ঝাঁড়–ফুঁক দেওয়ার নাম করে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শঙ্কর দেবনাথকে (৭০) নামে এক ভণ্ড ফকিরকে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার কেরনীগঞ্চের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, নগরীর বাজার রোড সাগর গলি এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে শিশু–কিশোর–কিশোরীদের বিভিন্ন রোগের ঝাঁড়–ফুঁক দিয়ে আসছিলেন। শঙ্কর নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর সম্পর্কে নানা (মায়ের মামা) হওয়ার সুবাদে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে জন্ডিসের চিকিৎসা নিতে বরিশালে আসেন।
বুধবার (১২ আগস্ট)দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বাজার রোডে সাগর গলিতে ভাড়া বাসা থেকে ভণ্ড ফকির শঙ্কর দেবনাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, আটক ভণ্ড ফকির শঙ্কর দেবনাথ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
গত ৬ আগস্ট অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে বরিশালে আসেন তার মা। ৮ আগস্ট রাত ১০টার পরে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরে জটিল রোগ বাসা বেধেছে, স্বামী সংসারে সুখে থাকবে না বলে তার মাকে জানায় শঙ্কর দেবনাথ। ওই রাতে শরীরের রোগ এবং বিয়ের পরে সংসারে সুখি হতে হলে তাকে নাওন (গোসল) কথা বলে শঙ্করের কক্ষে রাখেন। ছাত্রীর মা পাশের কক্ষে শুয়েছিলেন।
আত্মীয় এবং লোকটি বয়স্ক হওয়ার কারণে ওই ছাত্রীর মা তেমন কিছু সন্দেহও করেনি। ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে স্কুলছাত্রী তার মাকে জানায় যে, তাকে কক্ষে আটকে ঝাঁড়–ফুকের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভণ্ড ফকির শঙ্কর দেবনাথকে আটক করা হয়। আটককে পরে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে শঙ্কর দেবনাথ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।