বাবু, এক ছোট্ট শহরের কলেজপড়ুয়া বাঙালি ছেলে, খাওয়ার প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য বেশ বিখ্যাত ছিল—বিশেষ করে বিরিয়ানির জন্য। এক সুন্দর শুক্রবার, সে সিদ্ধান্ত নিল তার রুমমেটদের চমকে দিতে। রান্না করবে তার “দাদির সিক্রেট রেসিপির লেজেন্ডারি মুরগির ঝোল”। সমস্যা হলো? বাবু কখনো ডিমও সেদ্ধ করেনি, ঝোল তো দূরের কথা।
ইউটিউব আর অদম্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবু তার মিশন শুরু করল। শুরুতে সব ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ বাবুর মস্তিষ্কে এল এক দুর্দান্ত আইডিয়া। সে ঝোলে যোগ করল গন্ধরাজ লেবুর খোসা, গুড় আর এক চিমটি কফি—কেন? কারণ, “যতই মজা ততই সাজা!”। রান্নাঘর থেকে একটা “বিশেষ” গন্ধ বের হচ্ছিল, আর বাবু মনে করল সে বুঝি কোনো মাস্টারপিস বানিয়ে ফেলেছে। যখন রুমমেটরা ফিরল, ঝোলটা দেখতে ডালের মতো লাগছিল, যেখানে মুরগির টুকরোগুলো সাঁতারের প্র্যাকটিস করছিল।
ডিনারের টেবিলে প্রথম চামচ মুখে দেওয়ার পর চারপাশে নিস্তব্ধতা। এক রুমমেট ফিসফিস করে বলল, “বাবু, এটা ঝোল নাকি মিষ্টান্ন?” আরেকজন বলল, “এটা খেতে এমন, যেন আমার চায়ে ভুল করে বিরিয়ানি পড়ে গেছে।” সেরা মুহূর্ত এল যখন বাবু নিজে এক চামচ খেয়ে বলল, “এটা…এটা মুরগির ঝোল না, এটা একটা অ্যাডভেঞ্চার!” সেদিন থেকে বাবুর নাম হয়ে গেল “মাস্টারশেফ মিক্স-ম্যাচ,” আর কেউ তাকে আর কখনো রান্নাঘরের কাছে ঘেঁষতে দিল না।