যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় দফায় শপথ নেওয়ার পরদিনই ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য স্থগিতের নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অনিশ্চয়তার ছায়া নেমে এসেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, গণতন্ত্র এবং পরিবেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২১০ কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা হবে, যা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন সাহায্য বাতিলের লক্ষ্যে। হোয়াইট হাউসের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি সহায়তা প্রকল্পের কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ইউএসএআইডি এবং ডব্লিউএইচও-এর মতো সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এডাব-এর পরিচালক এ কে এম জসীম উদ্দিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রকৃত পরিসর বুঝতে সময় লাগবে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এই স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের উন্নয়নশীল প্রকল্পগুলোতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রেও একটি বড় ধাক্কা।