• ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজি এখন একমাত্র সরকারি ভাষা

দখিনের সময়
প্রকাশিত মার্চ ৩, ২০২৫, ১৬:৪১ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজি এখন একমাত্র সরকারি ভাষা
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজিকে দেশের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি সংস্থা এবং ফেডারেল তহবিলপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় নথি ও সেবা চালিয়ে যাবে কিনা, সে বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন এই আদেশের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করা হয়েছে, যেখানে ইংরেজি না জানা নাগরিকদের ভাষা সহায়তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, অনেকেই একে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি ভাষাগত বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকে সংকুচিত করবে।

আদেশে বলা হয়েছে, ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলে জাতীয় মূল্যবোধ আরও শক্তিশালী হবে এবং নতুন অভিবাসীদের দ্রুত সমাজের সাথে একীভূত হতে সাহায্য করবে। ইংরেজি শেখা কেবল কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় না, বরং নতুন নাগরিকদের জাতীয় সংস্কৃতিতে অংশ নিতে ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে সহায়তা করে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নেটিভ আমেরিকান ভাষা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষাগুলোর অস্তিত্বকে আরও সংকটের মুখে ঠেলে দেবে। মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ঘরে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন, যার মধ্যে ১৬০টিরও বেশি নেটিভ ভাষা রয়েছে।

ইউএস ইংলিশের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য ইংরেজিকে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে ভাষা নীতি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয় — ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের স্প্যানিশ ভাষার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে পুনরায় চালু করা হয়। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন ওয়েবসাইটটি আবার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষ পর্যন্ত তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে নতুন আদেশের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য তৈরির লক্ষ্যের পাশাপাশি, ভাষাগত বৈচিত্র্য ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।