• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শাহজাহান চৌধুরী গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’

দখিনের সময়
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ণ
‘শাহজাহান চৌধুরী গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90

সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর প্রশাসন আন্ডারে (আয়ত্ত্বে) আনার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার মধ্যে আরেকটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, এক বছর কাজ করার জন্য ড. ইউনূস ঘোষণা করেছেন ‘শাহজাহান চৌধুরী গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’।
গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ বক্তব্য দেন শাহজাহান চৌধুরী। ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওর বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমি দুবারের এমপি, চারবার পার্লামেন্ট নির্বাচন করেছি। ৪২ বছর সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার জনসাধারণকে বুকে নিয়ে আমি বারবার আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা আমাকে সম্মানিত করেছেন। ১৯৯১-তে এমপি বানিয়েছেন, ২০০১ সালে নির্বাচিত করেছেন। আজকে বাংলার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া নয়, পুরো চট্টগ্রামে এক বছর ধরে কাজ করার জন্য ড. ইউনূস ঘোষণা করেছেন, শাহজাহান চৌধুরী গার্ডিয়ান অব চিটাগাং। চট্টগ্রামের অভিভাবক হচ্ছেন শাহজাহান চৌধুরী।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমি এমপিগিরি রাজনীতির মাধ্যমে কোনো ধান্দাবাজি করিনি। তাই আজকে আপনাদের দুয়ারে এসেছি। আগামী নির্বাচনে আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, আসুন শুধুমাত্র কাঞ্চনা নয়, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া নয়, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সেকেন্ড সিঙ্গাপুর করার স্বপ্ন নিয়ে আজকে চট্টগ্রামে রাজনীতি করছি। তাই আমার কাছে কোনো জামায়াতে ইসলামী নয়, কোনো রাজনীতি নয়, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নয়, আমি মানুষকে ভালোবাসি। মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছি। ৫৪ বছর ধরে রাজনীতি করে ৪২ বছর সাতকানিয়া লোহাগাড়ার নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায়, নিরন্ন মানুষের খেদমত করেছি। আজকে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার কী অবস্থা। রাস্তা নেই, ঘাট নেই, ব্রিজ নেই, কালভার্ট নেই।
নিজেকে ‘গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’ ঘোষণা করার বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে এ রকম কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ রকম কিছু হলে আমরা জানার কথা। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় অফিস আদেশের মধ্য দিয়ে হয়ে থাকবে। মৌখিকভাবেও আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।