• ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদির প্রতি গুলি বর্ষণকারীদের সম্পর্কে যা জানা গেছে, অন্তত পাঁচ জায়গায় অবস্থান শনাক্ত

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ১৮:৪৬ অপরাহ্ণ
হাদির প্রতি গুলি বর্ষণকারীদের সম্পর্কে যা জানা গেছে, অন্তত পাঁচ জায়গায় অবস্থান শনাক্ত
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
ওসমান হাদিকে গুলি করা অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, হাদিকে গুলির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্তের পর তাদের গ্রেপ্তার করতে অন্তত পাঁচ জায়গায় অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে, সন্ত্রাসীরা বারবার অবস্থান বদলে ফেলা ও সিমকার্ড পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তারে বেগ পেতে হচ্ছে।
দুষ্কৃতিকারীদের পরিচয়সহ পুরো ঘটনার পূর্বাপর সম্ভাব্য সব তথ্যই যাচাই করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হাদির সঙ্গে থাকা দুই যুবককের মধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ ওরফে রাহুল। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর থেকে জানা গেছে।
ফয়সালের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে; উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। তার বাবার নাম মো. হুমায়ুন কবির ওরফে আবদুল মালেক মুন্সি। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ফয়সালের পৈত্রিক বাড়ি বাউফলে হলেও অনেক বছর ধরে তাকে এলাকায় দেখা যায়নি। এমনকি তার বাবা কিংবা পরিবার কাউকে এলাকা দেখা যেত না। ফয়সাল করিম কোনোদিন গ্রামের বাড়িতে আসেননি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা ঢাকায় থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধারীতে একটি অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করা হয়। এ ঘটনায় আদাবর থানায় করা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল করিমকে প্রধান আসামি করা হয়। ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, তিনটি মোবাইল ফোন ও পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জামিনে বের হন তিনি। পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ফয়সাল করিম ঢাকার আদাবর থানাধীন পিস কালচার হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন।