ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যদি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে, তবে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক উল্লেখ করে সরকার বিষয়টিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও নির্বাচনী পরিবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে ধরা হয় এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে ভারতের কার্যকর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ঢাকা। এর আগে, দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় হাদিকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, কালো মোটরসাইকেলে করে আসা দুজন ব্যক্তি এ হামলা চালিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম জানান, হামলার মূল আসামি দেশেই অবস্থান করছে এবং সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ওসমান হাদির মস্তিষ্কে ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
