• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বদলাচ্ছে কৃষকের জীবন

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ১৭:৫৩ অপরাহ্ণ
চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বদলাচ্ছে কৃষকের জীবন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নদীঘেরা চরজুড়ে শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। সূর্যাস্ত পর্যন্ত টানা পরিশ্রমে মুখর থাকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর মুজিবনগর, যেখানে তরমুজ চাষ এখন প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।
তেঁতুলিয়া নদীবেষ্টিত প্রায় ৬ হাজার ৪৩৭ একর আয়তনের এই চরের একাংশ আবাদযোগ্য। নৌপথই এখানকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। তরমুজের মৌসুমে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এখানে এসে অস্থায়ীভাবে কাজ করেন। ক্ষেতের পাশে ছনের দোচালা ঘরে তাঁদের বসবাস, চাষিদের ব্যবস্থাপনায় চলে থাকা-খাওয়া। শ্রমিক মো. হোসেন জানান, মাসিক চুক্তিতে তিন মাস কাজ করে প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা পান। টানা কয়েক বছর ভালো ফলন হওয়ায় শ্রমিক ও চাষি—উভয়ের আগ্রহই বেড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, তরমুজ চাষে লাভের অঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। মুজিবনগর ইউনিয়নের কৃষক মো. ইসমাইল ১৩ একর জমিতে উন্নত জাতের তরমুজ আবাদ করে গত বছর ৮ লাখ টাকা বিক্রি করেন। এ বছর আগাম চাষে তাঁর বিক্রির লক্ষ্য ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা, যেখানে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ। অন্যদিকে, কৃষক রাকিব হোসেন ও আবুল হাসেম ব্যাংক ঋণ ও ব্যক্তিগত পুঁজি বিনিয়োগ করে তরমুজ চাষে নেমেছেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চরফ্যাশনে ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, উর্বর মাটি ও মিঠা পানির প্রভাবে চরফ্যাশনের চরাঞ্চল তরমুজ চাষের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত।