• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনে হলো এক অচেনা শহর: সৈয়দ রিপন

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ২১:৪৩ অপরাহ্ণ
মনে হলো এক অচেনা শহর: সৈয়দ রিপন
সংবাদটি শেয়ার করুন...

খালিদ সাইফুল্লাহ: 

‘মেয়র সাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন’- এই খবর শুনে বাকেরগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন। কিন্তু শহরে প্রবেশ করেই তিনি হোচট খেলেন। তার উচ্চারণ, ‘চিরচেনা বরিশালকে মনে হলো যেনো এক অচেনা শহর!’

দৈনিক দখিনের সময়-এর সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত সৈয়দ রিপন। ১৮ আগস্ট সংঘটিত রহস্যজনক ঘটনার তিন সপ্তাহ পর  তাঁর সাথে দখিনের সময় প্রতিনিধির কথা হয় ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়।

আওয়ামী পরিবারের সন্তান সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন। ছাত্র রাজনীতির কঠিন পথ চলায় তিনি বাকেরগঞ্জ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কঠিন এ দায়িত্বে থাকাকালেই ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ রিপন। তবে তাঁর সাংগঠনিক কর্মকান্ড কেবল পৌর এলাকা বা উপজেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরিশাল শহরের রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি।

দৈনিক দখিনের সময়- এর সঙ্গে অলাপকালে ছাত্র নেতা ও জনপ্রতিনিধি সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন বলেন, ১৮ আগস্ট আমাদের নেতা মেয়র সাদিক ভাই গুলিবিদ্ধ হবার খবর শুনে আমি ছুটে আসি। তখন রাত প্রায় একটা। কিন্তু শহরে প্রবেশ করেই মনে হলো, এ শহর যেনো আমি চিনা না! অজানা এক ভ‚তুরে শহর। দেখলাম শহর জুড়ে কেবল পুলিশ আর পুলিশ। র‌্যাবও ছিলো। আতংক নিয়ে এক বন্ধুর বাসায় রাত কাটিয়ে সকালে কালিবাড়ী রোডে মেয়রের বাসায় গেলাম। সেখানে দেখলাম আর এক দৃশ্য! র‌্যাব পুলিশে ঠাসা! পুলিশকে খুবই মারমুখি মনে হলো। কাউকে মেয়রের বাসায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছিলো না। বেলা ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস চাচা এলেন। তিনি দায়িত্বরত অফিসারের সাথে কথা বললেন। দুপুর নাগাদ র‌্যাব-পুলিশের বহর চলে যায়। এরপরও কিছু র‌্যাব সদস্য ও ডিবি পুলিশ থেকে গিয়েছিলো।

এক প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন বলেন, ১৮ আগস্টের ঘটনা আমাদের জন্য একটি বড় ধরণের ধকল। আমরা আতংকিত। প্রশাসন যেনো আমাদের চেপে ধরেছে। এখন আমরা যা কিছু করি তাতেই দোষ হয়ে যায়। আমাদের নেতা মেয়রই যেখানে দুই মামলায় হুকুমের আসামী সেখানে আমাদের রাজনীতি কোথায় থাকে!

প্রশ্ন: তা হলে কি আপনাদের সামনে কেবলই অন্ধকার?

উত্তর: আমি তা মনে করি না।

প্রশ্ন: কারণ..?

উত্তর: আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন সংকট স্থায়ী হয় না। সংকট কাটিয়ে ওঠার কৌশল আওয়ামী লীগ নেতাদের জানা আছে। সিনিয়র নেতাদের উপর আমাদের ভরসা আছে। মনে রাখতে হবে, এটি আওয়ামী লীগ! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত অনেক সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। আর দক্ষিণ বঙ্গে সিংহপুরুষ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ রাষ্ট্রীয় এবং বরিশাল বিভাগের অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। এদিকে মেয়র সাদিক ভাই রাজনীতিতে অসাধারণ সংগঠক হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। এ বিষয়গুলো সকলকেই বিচেনায় রাখতে হবে। কাজেই, কোন সমস্যাই জগদ্দল পাথর হয়ে থাকার সুযোগ নেই।