Home মতামত অনোয়ার জাহিদ চেয়েছিলেন ঝাড়ু দিতে, আগুনে ঝাপ দিতে চেয়েছেন ডা. মুরাদ

অনোয়ার জাহিদ চেয়েছিলেন ঝাড়ু দিতে, আগুনে ঝাপ দিতে চেয়েছেন ডা. মুরাদ

আলম রায়হান:
চাপের মুখে পদত্যাগকারী সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান টক অব দ্যা কান্ট্রি। তাঁকে নিয়ে এতো আলোচনা হচ্ছে যাতে মনে হতে পারে, দেশে আর কোন সমস্যা নেই। নেই খবরও। ইস্যুর বড়ই আকাল এবং তিনি যে অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তা যেনো এর আগে আর কখনো ঘটেনি। কিন্তু বাস্তবতা সেরকম নয়। এরপরও ডা. মুরাদ আলোচনার শীর্ষে। কারণ দুটি। এক. তাঁর অতিভক্তির বাহানা। দুই. নারী সংশ্রব। স্মরণ করা যেতে পারে এরকম ঘটনার উদাহরণ মোটেই বিরল নয়। একমাত্র তো নয়ই!

অতিভক্তির বাহানার বিষয়টিই ধরা যাক। তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদে আসিন থাকাকালে এই সেদিন,১১ নভেম্বর, ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে আগুনে ঝাঁপ দেব।’ একইভাবে অতিভক্তির আতিশয্যে কান্ডজ্ঞাণ হারিয়েছিলেন এরশাদ সরকারের তথ্যমন্ত্রী অনোয়ার জাহিদ।সামরিক সরকারের মন্ত্রী হবার আগে তিনি সাংবাদিকতায় নিয়োজিতো ছিলেন। তারও আগে সক্রিয় ছিলেন বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে।বিভিন্নমুখী প্রতিভা, সংশ্রব ও নানামুখি ব্যাপ্তি থাকা সত্তে¡ও আনোয়ার জাহিদ কান্ডজ্ঞানের সীমানায় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি চাইলে রাস্তা ঝাড়ু দেব!’ অথচ তখন তিনি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তার কোন রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত দায়িত্বের আওতায় ছিলো না। তবু তিনি ঝাড়ুদার হতে চেয়েছেন। কবিতার অমল কান্তি যেমন রদ্দুর হতে চেয়েছিলো।

তথ্যমন্ত্রী হয়েও অনোয়ার জাহিদ কেন ঝাড়ু দিতে চেয়েছেন? তথ্য প্রতিমন্ত্রী কেন আগুনে ঝাপ দিতে চেয়েছেন? অবশ্যই কারণ আছে। এ ব্যাপারে বহু আগে বলে গেছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যার অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য, তাহা কেবল একমাত্র তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।’ এই চিরন্তন সূত্রের পথেই যুগেযুগে তোষামোদকারীরা হেটেছেন, হাটছেন এবং হাটবেন। এ পথের পথিক বহরে যুক্ত হয়েছেন আনোয়ার জাহিদ। এরপরও জেনারেল এরশাদের সঙ্গে বছর দুইর বেশি টিকতে পারেনি। বরং তার সবটুকু তেলই বিফলে গেছে। কারণ তাঁর তৈল মর্দনের কৌশল ও মাত্রায় ভুল ছিলো। তেলের তেলেসমাতি তড়িৎ প্রবাহের মতো হলেও বাড়াবাড়িতে সবই যায় বিফলে। জগত সংসারে তৈলে সিক্ত হয় না এমন মানুষ বিরল। তেল অব্যর্থ। কিন্তু তেল চর্চা করতে হয় কাল-মাত্রা বুঝে। কিন্তু স্থানভেদে তিন ফোঁটার জায়গায় চার হলেই লক্ষ্য অঙ্গকুড়ে বিনষ্ট হয়। সুতরাং তৈলে সিদ্ধ না হলে সিদ্ধিলাভ হয়না। যেমন হয়নি আনোয়ার জাহিদ ও ডা. মুরাদ হাসানের বেলায়। তারা একই মাত্রায় ব্যর্থ হলেও তৈল প্রয়োগের মাত্রা জ্ঞানে তুলনামূলক পরিমিতি বোধের পরিচয় দিয়েছেন ডা. মুরাদ। তা না হয়ে তিনি হয়তো টয়লেট পরিস্কার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করতেন।

যে মাত্রারই হোক, ডা.মুরাদের এই তৈল বচন লক্ষ্যহীন নয়। সকল তৈল বচনেরই উদ্দেশ থাকে। এ দিক থেকে মুরাদ হাসান বেশ পরিস্কার। প্রধানমন্ত্রী চাইলে আগুনে ঝাপ দেবার সংকল্প প্রকাশের দিনই নিজের বাসনার কথাও চাউড় করেছেন। বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি, সফল মানুষ। কিন্তু তাকে সহযোগিতা করার জন্য সেখানে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’ বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান ডা. মুরাদ। দায়িত্ব দেয়া হলে পালন করবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‘প্রধানমন্ত্রী আমার মা। তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই পালন করবো। তিনি যদি বলেন, আগুনে ঝাপ দে, মুরাদ। আমি তাই করব।’

খুবই পরিস্কার, স্বাস্থ্য থেকে তথ্যতে আসা ডা. মুরাদ হাসান স্বরাষ্ট্রতে যাবার বাসনা করেছেন। হয়তো এই বাসনায় তিনি বিভোর ছিলেন। এখানেই ভুল হয়েছে। তাঁর ভুল দুই রকম। এক. তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মপদ্ধতি তলিয়ে দেখেননি, অথবা এ মেধা তার নেই। তা না হলে বুঝতেন, যতটা মনে করা হয় ততটা ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা।এ বিষয়ে মরহুম আকবর হোসেনের বাণীসম একটি উচ্চারণ আছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে কখনো মন্ত্রী থাকেন না।’ তিনি বুঝাতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে থাকে সরকার প্রধানের হাতে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেে শুরু করে সকল সরকার প্রধান বিভিন্ন মেয়াদে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজ হাতে রেখেছেন। ফলে অকাট্যভাবে প্রমানিত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যত গুরুত্বপূর্ণ ততই নিয়ন্ত্রিত। দুই. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস পাঠেও ডা. মুরাদের ভুল রয়েছে।তা না হলে বুঝতেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব বেশি সুখকর নয়। যে ধারায় বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে ৩২ জন ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়রে দায়িত্বে।এর মধ্যে মেয়াদ পূর্তিতে সফল আবদুল মতিন চৗধুরী। আর পরপর একাধিক মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্তির রেকর্ড করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ইতিহাসের দিকে তাকালে বুঝা যাবে, একুশ বছর একটানা ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিক পৌনে তিন বছরের মাথায় দপ্তর হারিয়েছেন। মাস কয়েক ‘উজিরে খামাখা’ থাকার পর মন্ত্রিপরিষদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এটি স্ববিচেনায় করেছেন নাকি করতে বলা হয়েছে তা জানা যায়নি। এরপর আজতক তাঁকে আর মন্ত্রী করা হয়নি। যদিও বাসনা ছিলো প্রবল। থাকারই কথা। কিন্তু সন্তষ্ট থাকতে হয়েছে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ প্রাপ্ত হয়েই। তবে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন শক্ত অবস্থানে। এবং বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ ইমেজের মন্ত্রী ছিলেন মেজর রফিক। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ নাসিমকে। গদিসীন হয়েই তিনি মাটির নীচ থেকে সন্ত্রাসী ধরে আনার হুংকার দিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেরকম কিছুই করতে পারেননি তিনি। পর্যবেক্ষকদের মতে তিনি আসলে সরকারকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবার মতো কর্মকান্ড করেছেন দুই বছরের মেয়াদে।
পরের সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। কিন্তু তার অভিজ্ঞতাও সুখকর হয়নি। বিদায় ঘন্টাবাজে আলতাফ চৌধুরীর। তবে কক্ষচ্যুত হলেও নক্ষত্রের পতন হয়নি। পাকিস্তান লবীর এজেন্ট হিসেবে পরিচিত আলতাফ চৌধুরী লাভ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আসেন লুৎফুজ্জামান বাবর। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লুৎফুজ্জামান বাবর কয়েক বছর ধরে মৃত্যুদন্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে আছেন। তিনি শারীরকি ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ। তার খবর কেউ রাখে না।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় এডভোকেট সাহারা খাতুনকে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কখনই কোমর সোজা করেই দাঁড়াতে পারেননি। বরং এ দায়িত্বে থাকাকালেই বাধরুমে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙ্গেছেন। এরপর তার কপালও ভাঙ্গে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সড়িয়ে তাঁকে দেয়া হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে আসেন মহা প্রতাপের সাবেক আমলা মহিউদ্দিন খান আলমগীর। কিন্তু রানাপ্লাজা ট্রাজেডির পর ‘ঝাকি তত্ত¡’ দিয়ে আলোচিত হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন অনুজ্জ্বল। ফলে এক পর্যায়ে স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয়ের সরাসরি দ্বায়িত্ব নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে সরে গিয়ে সোহেল তাজ বেছে নেন প্রবাস জীবন। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ও স্নেহের বন্ধনও তাঁকে আর মন্ত্রণাালয়ে ফেরাতে পারেনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এবং সরকার প্রধানের প্রশ্নাতীত আস্থার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান খান কামাল একটানা দায়িত্বে আছেন ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই থেকে। দীর্ঘতম সময়ের এই স্বরাস্ত্রমন্ত্রী ব্যাপারে অগ্রহণযোগ্য কথা বলে বসলেন ডা. মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার বাসনাও প্রকাশ করলেন নগ্নভাবে। যা সরকারকে বিব্রত করেছে। কিন্তু ডা. মুরাদ এ পরিস্থিতি অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো হয়তো ভেবেছেন, আকাশের ঠিকানায় লেখা তাঁর এই বাসনার চিঠি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিভ্রম থেকেই তিনি অধিকতর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। হয়ে পড়েন বেসামাল। পরিণতিতে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়। তার ভাগ্য ভালো। পত্রপাঠ বিদায় করা হয়নি। যেমনটা হয়েছিলো মিজানুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ার জাহিদকে।
ডা. মুরাদ হাসানের অধপতনের মূলে রয়েছে দূরাশা জনিত বেসামাল কথাবার্তা এবং আদিম রিপুর অনিয়ন্ত্রিত তাড়না। হয়তো তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সুবাদে নায়িকা মাহিদের সহজে কাছে পেতেন ডা. মুরাদ। এ ধারায় এ মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী বেশ আলোচিত ছিলেন। তিনি আবার রাজনৈতিক গবেষক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। গবেষণা লব্ধ তার একাধিক বই রয়েছে। তবে তিনি চিহ্নিত হবার অবস্থায় পতিত হননি। তবে চিহ্নিত হয়েছেন ডা.মুরাদ এবং গদি হারিয়েছেন।এ ধরনের ঘটনায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আলোচনায় আসেন সেময়ের তথ্যমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী। বলা হয়, এ কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছিলো। তিনি এখন পরপারে। কিন্তু যাকে নিয়ে কান্ড সেই নায়িকা এখনো জীবিত। এদিকে খালেদা সরকারের এক পূর্তমন্ত্রী এমন এক নায়িকার সঙ্গে কান্ডে জড়িয়েছিলেন যিনি পরপারে গেছেন।

এ রকম আরো অনেক ঘটনা আছে। আছে রটনাও। যা সামরিক সরকারের সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ছিলো। যে কারণে চিহ্নিত সুন্দরীদের সচিবালয়ে প্রবেশে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারী করা হয়েছিলো। তবে এতে কোন ফলোদয় হয়নি বলে মনে করা হয় বরং এরশাদ সরকারের সময় এই ধারা পৌছায় সর্বোচ্চ অবস্থানে এবং কে না জানে, জেনারেল এরশাদ ছিলেন এ প্রবনতার পালের গোদা। যে ধারায় অনেকেইে যুক্ত হয়েছেন। সে সময় আলাচিত সুন্দরী মানেই ধরে নেয়া হতো, এরশাদের বান্ধবী। অনেকে আবার এরশাদের ধারে কাছে ঘেষার সুযোগ না পেয়েও নিজেকে এরশাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিতেন সিদ্ধি লাভের কৌশল হিসেবে। অবশ্য, এ ধারা চিরকালীন। শিকার এবং শিকারীর আকাল হয় না কোন কালেই। এ এক চলমান ধারা।

এ ধারায় মোহাবিষ্ট হয়ে প্রতিমন্ত্রীর আসনে থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসান কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। যার অনিবার্য পরিণতির পথে এখন হাটছেন তিনি। এ পথের বেশামাল পথিক হয়ে এরই মধ্যে তিনি পতিত হয়েছেন। মন্ত্রিত্বেরও অবসান হয়েছে। এখন রাজনৈতিক জীবনের চির অবসান সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ থেকে কেউ কেউ হতো ধারণা করতে পারেন, ডা. মুরাদের পরিণতি দেখে অনেকেই সাবধান হবেন। কিন্তু বাস্তবতা আসলে সেরকম নয়। সমস্যার মূলে না গেলে এ রকমের উপদ্রব এবং অনৈতিকতা ধারার অবসান হবার নয়।

এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আরো একটি বিষয় বিবেচনা করা দরকার। তা হচ্ছে, ডা. মুরাদ হাসান কি কেবল বিকারগ্রস্থ হয়েই কথা বলেছেন? নাকি কোন চক্রের দাবার ঘুটি হিসেবে খেলেছেন। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে খেপিয়ে তোলার মিশনে ছিলেন তিনি? আরো প্রশ্ন আছে। নায়িকা মাহির সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ডা. মুরাদের ফোনালাপ এ সময় ফাঁস হবার রহস্য কি? একটি ঘটনাচক্র, নাকি ঘটানো!

লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের চেষ্টা, বিমানে ওঠার সময় আটক ১

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ মোহাম্মদ কায়সার হামিদ নামে বিদেশগামী এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)...

কঠিন বাস্তবতায় বিএনপি

বাঁচতে হলে পানি পান করতেই হবে। এটি সব প্রাণীর জন্য সত্য। জীবজগৎ পানিনির্ভর। পানি ছাড়া পৃথিবী অচল। পানির প্রয়োজন সবার। তবে এ প্রয়োজনের মাত্রা...

দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আওয়ামী...

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

দখিনের সময় ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত। বৃহস্পতিবার(২৫ ‍এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে...

Recent Comments