জোড়াতালির মিল খুঁজতে চাইলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলর জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘মহান জন্মস্থল’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর অতীত রেকর্ড কিন্তু তেমন সুখকর নয়। উজ্জ্বল তো নয়ই। যেমন হাফিজি হুজুরের রাজনৈতিক দলের বিশাল শোডাউন হয়েছিল এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। তখন রোড ডিভাইডার না থাকায় এলাকাটি ছিল বিশাল। হাফিজি হুজুরের দলীয় প্রতীক ছিল বটগাছ। প্রবণতায় প্রকৃতির বটগাছ হারিয়ে যাওয়ার চেয়েও দ্রুত রাজনীতির বটগাছ বিলীন হয়ে গেছে।
আবার এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনা প্রথম দফার সরকারের আমলে জেনারেল এরশাদের বিশাল শোডাউনের পর থেকেই তার দলের রাজনৈতিক পতনের ধারা প্রবলতর হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, বিশাল সেই জনসভায় সরকারের সমালোচনা করার সমাবেশের মঞ্চেই কাজী জাফরের ওপর হামলে পড়েছিলেন নাজিউর রহমান মঞ্জুর। যদিও নাজিউর রহমান বাম ধারার এই নেতার খুবই অনুগত ছিলেন। তিনি নাকি আর একজনকে সঙ্গে নিয়ে শাব্দিক অর্থেই কাজী জাফরের পা ধরে এরশাদের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় জনের কাছে এ ঘটনা শোনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ সদস্য ছিলেন, এখনো বেঁচে আছেন। যদিও মুক্তিযুদ্ধ করার সুযোগ পায়নি ভারতের বিশেষ প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা বিএলএফ। অবশ্য এটি অন্য প্রসঙ্গ। তবে এটি ভাবায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খোলা প্রান্তরে আত্মপ্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ইফতার পার্টি কেন ফাইভস্টার হোটেলে করতে হলো?
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ২০ মার্চ ২০২৫। শিরোনাম, ‘নতুন দল ও দন্তের অদৃশ্য অংশ’