• ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নাগরিক পার্টির ভবিষ্যত কী?

দখিনের সময়
প্রকাশিত মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ণ
জাতীয় নাগরিক পার্টির ভবিষ্যত কী?
সংবাদটি শেয়ার করুন...
ফেসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের অসাধ্য সাধনে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব প্রদানকারী ছাত্রদের একাংশের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। অভ্যুদয়ের আগে থেকেই এ দল নিয়ে ছিল নানা আলোচনা, বিতর্ক, আগ্রহ, কৌতূহল। সমালোচনাও। এ ধারা চলমান। এর সঙ্গে আছে নানান প্রশ্ন। এটি কি বড় কোনো দল হতে পারবে? নাকি ‘ফুটিবার আগেই ঝড়িয়া যাইবে’ ? কী হবে ‍এ দলের মার্কা, হেলিকপ্টার নাকি রিকসা? শেষতক নেতৃত্বে কারা থাকবেন অথবা আসবেন?  সব কিছু ছাপিয়ে প্রধান প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির ভবিষ্যত কী?
সাধারণভাবেই বোধগম্য, কিংস পর্টি হিসেবে তকমা পাওয়া ‍নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নানান বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আগাতে হবে। ‍এর মধ্যে প্রধান আলোচ্য হচ্ছে, নেত্বের ‘ভাতিজা গোছের চেহারা-সুরাত, আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে অসম লড়াই, রাষ্ট্র কাঠামোর প্রচলিত পাহাড়সম প্রবনতা। ‍এইসব বাস্তবতা মোকাবিলা করেই নতুন দলটিকে ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হবে। অবশ্য বলা হচ্ছে, নতুন দলের দৃশ্যমান নেতৃত্ব আসলে দন্তের ‍উপরের অংশ। সঙ্গত কারনেই দন্তের ভিত্তি ‍এখনো অদৃশ্য, অজানা। ফলে জাতীয় নাগরিক পার্টির ভবিষ্যত নিয়ে নানান নেরেটিফ থাকাটাই স্বাভাবিক।
ভাতিজাগোছের
 নেতৃত্ব
অনেকেই বলছেন, দৃশ্যত বর্তমান নেতৃত্ব খুববেশি ‘ভাতিজা’ গোছের মনে হচ্ছে। মঞ্চের দিকে তাকালে মনে হয়, ‘কচিকাঁচার আসর!’ যা দেখে দেশের মানুষ অভ্যস্ত নয়। যেখানে নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক সেখানে চাচা গোছের কাউকে দলের নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসার উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে। এ অবস্থায় উপদেষ্টা পরিষদ অথবা অন্য নামে, নতুন দলের একটি ‘চাচা’ কাঠামো প্রয়োজন বলে শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেন। আবার এমনটি হলেও সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। কারণ, তখন কে কাকে নাড়বে? এমন নানান প্রশ্ন বেশ আলোচিত হচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর থেকে কিছু প্রশ্নে সুরাহা হলেও প্রধান প্রশ্নের উত্তর বাতেনেই থেকে গেছে। এ নিয়ে আছে অনেক ধোঁয়াশা। এদিকে নানা আলোচনার মধ্যেই দলটির বর্তমান নেতৃত্বে এক ধরনের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে দল গঠনের আগেই। রামের জন্মের আগে রামায়ণ রচনার মতো। নেতৃত্ব নিয়ে দফায় দফায় সমঝোতা, মনোমালিন্য, সামাজিক মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই আছে এখনো। এদিকে সরকারের উপদেষ্টা পদে ২৫ ফেব্রুয়ারি ইস্তফা দিয়ে নাহিদ ইসলাম হয়েছেন নতুন দলের আহ্বায়ক। বাকি শীর্ষ পদগুলোতেও স্থান পেয়েছেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পরিচিত মুখগুলো। কারও কারও মতে, সময় যত গড়াবে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে পরিচিত মুখের সংখ্যা ততই বাড়বে। এমনকি বর্তমান সরকারের একাধিক মুখ নতুন দলে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বাতেনের এই ধারায় বেশ গতি পেয়েছে সম্প্রতি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একটি মন্তব্যে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলমান। অনেকেই মনে করেন, নতুন এই দলে যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আদর্শের লোক সমবেত হয়েছেন, তাতে দীর্ঘ সময় এ দলের ঐক্য ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিভিন্ন দলের ছাত্র সংগঠন থেকে আগত ছাত্ররা আগের আদর্শ নতুন দলে ইনজেক্ট করার চেষ্টা করতে পারেন। অথবা এই এজেন্ডা নিয়েই নতুন দলে শামিল হয়েছেন। আর পতিতদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বলে তো গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। যেমন হাসিনা সরকারের সময় ছাত্রলীগে আশ্রয় নিয়েছিল ছাত্রশিবির। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাসদে যেমন আশ্রয় নিয়েছিল ’৭১ সালে পরাজিত পাকিস্তানি চেতনার ব্যক্তিরা। বলে রাখা ভালো, রাজনীতিতেও ‘কাকের বাসায় কোকিলের ছা’ প্রবণতা আছে! প্রকৃতির মতো রাজনীতিতেও অন্য চেতনার লোকরা লুকানোর ঘরে স্থায়ী হন না। পরিবেশ এলে কোকিলের ছানা-পোনায় সাজানো ঘর খালি হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যেমন হয়েছে জাসদের সাজানো ঘর।
 ‘পর্বতের মূষিক
প্রসব
প্রচলিত রাজনীতির ধারায় জাতীয় নাগরিক পার্টি যদি কখনো বড় হয়, অথবা দলটি ব্যাপক কোনো উদ্যোগ নেয়, তখন ভেতরে হতে পারে অন্যরকম তৎপরতা। সে ক্ষেত্রে অন্য দল থেকে আগতদের এক সরল রেখায় রাখা কঠিন হতে পারে। শুধু তাই নয়, নানান মতের নানান ঘরানার লোকজনকে নতুন দলের ব্যানারে রাখা স্বাভাবিক সময়ও নানান মাত্রার চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়তে পারে। আর সংকটের সময় পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, বলাই বাহুল্য। এদিকে নতুন দল থেকে কয়েক নেতার পদত্যাগের খবর এমন বার্তাই দেয়। পাশাপাশি অন্যরকম বার্তাও পাওয়া যাচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঁচটি বাস রিক্যুইজিশন কাণ্ড বেশ আলোচনায় এসেছে। বাসের জন্য ডিসির কাছে যেতে হলো কেন? নাকি এ ক্ষেত্রে প্রশাসনে প্রভাব দেখানোর প্রবণতা কাজ করেছে! বলা কঠিন। আর এটি যে কেবল একটি জেলায়ই হয়েছে, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এদিকে সারজিস আলমের ঘোষণা অনুসারে বাসনা ছিল ‘অন্তত দুই লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে নতুন দল এবং শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা।’ কিন্তু কত লাখ বা হাজার লোকের সমাগম ঘটানো গেছে, তা নিয়ে কিন্তু নানান প্রশ্ন আছে। কারও কারও মতে দলের আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণার আয়োজন তেমন কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং ‘পর্বতের মূষিক প্রসবের’ মতো ঘটনাই ঘটেছে বলে ধারণা অনেকেরই।
তবে দলকে গণমানুষের কাছাকাছি রাখার প্রবণতা বেশ স্পষ্ট। আমাদের দেশে সাধারণত হোটেল অথবা কোনো অডিটোরিয়ামের হলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে দল ঘোষণা এবং অন্যান্য বিষয়ে আড়ম্বরপূর্ণ জানান দেওয়া হয়। এ ধারার বিপরীতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ আগের যুগে গোয়াল ঘরে হিন্দু রমণীর সন্তান প্রসব করার ধারার মতো অন্যরকম দ্যোতনা দেয়। এদিকে প্রভু যিশুরও জন্ম হয়েছিল গোয়াল ঘরে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর
রেকর্ড সুখকর নয়
জোড়াতালির মিল খুঁজতে চাইলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলর জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘মহান জন্মস্থল’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর অতীত রেকর্ড কিন্তু তেমন সুখকর নয়। উজ্জ্বল তো নয়ই। যেমন হাফিজি হুজুরের রাজনৈতিক দলের বিশাল শোডাউন হয়েছিল এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। তখন রোড ডিভাইডার না থাকায় এলাকাটি ছিল বিশাল। হাফিজি হুজুরের দলীয় প্রতীক ছিল বটগাছ। প্রবণতায় প্রকৃতির বটগাছ হারিয়ে যাওয়ার চেয়েও দ্রুত রাজনীতির বটগাছ বিলীন হয়ে গেছে।
আবার এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনা প্রথম দফার সরকারের আমলে জেনারেল এরশাদের বিশাল শোডাউনের পর থেকেই তার দলের রাজনৈতিক পতনের ধারা প্রবলতর হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, বিশাল সেই জনসভায় সরকারের সমালোচনা করার সমাবেশের মঞ্চেই কাজী জাফরের ওপর হামলে পড়েছিলেন নাজিউর রহমান মঞ্জুর। যদিও নাজিউর রহমান বাম ধারার এই নেতার খুবই অনুগত ছিলেন। তিনি নাকি আর একজনকে সঙ্গে নিয়ে শাব্দিক অর্থেই কাজী জাফরের পা ধরে এরশাদের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় জনের কাছে এ ঘটনা শোনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ সদস্য ছিলেন, এখনো বেঁচে আছেন। যদিও মুক্তিযুদ্ধ করার সুযোগ পায়নি ভারতের বিশেষ প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা বিএলএফ। অবশ্য এটি অন্য প্রসঙ্গ। তবে এটি ভাবায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খোলা প্রান্তরে আত্মপ্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ইফতার পার্টি কেন ফাইভস্টার হোটেলে করতে হলো?
আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে
লড়াই করে জিততে হবে
ভাষার মাসের শেষদিন আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশকারী নতুন দলটির নামের সঙ্গে মিল আছে জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় আঁতুড়ঘরেই অন্তরালে যাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাগরিক শক্তির। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য দলের সঙ্গেও অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, প্রচলিত দলগুলোর সঙ্গে কোনো অমিল নেই নতুন দলের। অমিলও আছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ মৌলিক এবং গভীরের। এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় যুক্ত হয়ে প্রচলিত অনেক রাজনৈতিক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে আঁতুড়ঘর থেকে সদ্য বের হয়ে হামাগুড়ি দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির।
এই দলটিকে ঘিরে লক্ষণীয় মাত্রায় জনআকাঙ্ক্ষা-কৌতূহল সৃষ্টি হওয়া বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সবমিলিয়ে এই দল এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এটি কি শান্ত কাজলদিঘির জলে ক্ষণিকের কম্পন, নাকি কচু পাতায় টলমল স্বচ্ছ জল? নাকি বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলিক এক মাইলফলকের সূচনা পর্ব? রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গভীরের বাস্তবতা হচ্ছে, নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে কেবল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতার বাসনার বিভোর বিএনপির সঙ্গে লড়াই করে জিততে হবে—কেবল এমনটি নয়। নতুন দলের নেতাদের লড়তে হবে প্রচলিত ধারার রাষ্ট্র প্রবণতা এবং কাঠামোর বিরুদ্ধেও। বোধগম্য কারণেই গভীরে আরও অনেক কিছু আছে। এদিকে বিশ্ব রাজনীতি বহুলাংশে মাফিয়া প্রভাবিত। বাংলাদেশকে এর বাইরে বিবেচনা করার কোনো কারণ নেই। ফলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন পাহাড় হেলানোর মতোই অসাধ্য বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন কেউ কেউ। মনে করা হয়, এই কাজে রাষ্ট্র কাঠামোর কোনো কোনো কেন্দ্র থেকে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।
নতুন দল ও দন্তের
অদৃশ্য অংশ
শক্তিকেন্দ্রগুলো অধুনা ভূমিষ্ঠ জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশে কতটা থাকবে, তা বহুলাংশে নির্ভর করবে এ দলের দৃশ্যমান সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতার ওপর। নতুন দলের পালে বাতাসের চাপের প্রবলতা ও স্থায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া যায়, কিছুটা বাতেনে এবং খানিকটা জাহেরে ম্যাসেল পাওয়ার হিসেবে পাশে থাকবে জামায়াত; কিন্তু জামায়াতের পাবলিক ইমেজ এবং সাংগঠনিক শক্তি ও ভিত্তি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়লেও আলোচিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা ভোটে কতটা প্রতিফলিত, তা নিয়ে সংশয় কিন্তু রয়েই গেছে।
প্রসঙ্গক্রমে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, ৫ আগস্টের সাফল্যে ভিত্তি ছিল অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের সক্রিয় সমর্থন। আর সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব। পাশাপাশি শক্তিকেন্দ্রগুলোর বেশ কয়েকটি পাশে ছিল শুরুতেই। কোনোটি আবার শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকার বিষয়ে বিবৃতি এসেছে সাত মাসের মাথায়। আর জানা কথা, জাতিসংঘ মানে কোনো না কোনো মাত্রায় আমেরিকার ইচ্ছা পূরণের ফোরাম। এদিকে বিরাজমান সামগ্রিক বাস্তবতায় কেউ কেউ মনে করেন, নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির এখন পর্যন্ত যা কিছু দৃশ্যমান, তা হচ্ছে দন্তের ওপরের অংশ, ক্রাউন। আর দন্তের নিচের অদৃশ্য অংশ অন্তত দ্বিগুণ লম্বা ও গভীরে প্রথিত। অবশ্য যা কিছু চাপ তা দন্তের ওপরের অংশকেই সামলাতে হয়। যে কারণে এই অংশ অধিকতর শক্ত হয়। আর ওপর-নিচ নিরাপদ ও কার্যকর রাখতে হলে ওপরের অংশেরই বেশি পরিচর্যা করা ও পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। প্রকৃতির নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানা না হলে দন্তের ক্ষয় মূলত ওপরের অংশ দিয়েই শুরু হয়। আর দ্রুত নিচের দিকে নামে। আবার ইনফেকশন অদৃশ্য অংশেও শুরু হতে পারে। দাঁত অন্তত দুইশ ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দন্তের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য অংশের রসায়নের সঙ্গে রাজনৈতিক দলকেও কিন্তু মেলানো যায়। ফলে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির বিপুল সম্ভাবনার কথা যেমন বলা হচ্ছে, তেমনি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে নানান আশঙ্কার বিষয়ও।
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ২০ মার্চ ২০২৫। শিরোনাম, ‘নতুন দল ও দন্তের অদৃশ্য অংশ’