দখিনের সময় ডেস্ক:
দুই দেশের যুদ্ধ, তবে এর প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে দরিদ্র দেশগুলোতে। সংকট আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস সহসা পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জেফোরেশিয়ায় হামলার পর ধ্বস নেমেছে এশিয়ার পুঁজিবাজারগুলোতে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে হামলার পর জাপানের নিক্কেই সূচক এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমতির দিকে। প্রভাব পড়েছে বিশ্বের আর্থিক ও জ্বালানি খাতে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলারে উঠে যাওয়ার পর এশিয়ায়ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এছাড়া বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার দাম।
ইউরোপের ৩৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে, এর বড় উৎস রাশিয়ার তেল ও গ্যাস। ইউরোপ যদি বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ায় তাহলে রাশিয়া স্থায়ীভাবে কিছু বাজার হারাতে পারে। এতে দেশটিতে রুবলের দরপতন হবে, মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে আর সেই সঙ্গে কমবে জীবনযাত্রার মান বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। এসঅ্যান্ডটি গ্লোবালের তথ্যমতে, সূর্যমুখী তেল উৎপাদনে ইউক্রেন প্রথম ও রাশিয়া দ্বিতীয়। বিশ্বের ৬০ শতাংশ সূর্যমুখী তেলের উৎপাদনই এই দুই দেশে।
বিশ্বের অন্তত ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ গম উৎপাদন হয় ইউক্রেন-রাশিয়ায়। তবে রাশিয়ায় ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেন রুশ হামলার কারণে পণ্য সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে গমের দাম।