বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে পুরস্কার পেলো, ঠেকানো গেলো না নিজের বিয়ে
দখিনের সময়
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১, ২০:২৬ অপরাহ্ণ
প্রতীকি ছবি
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স ॥
বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে বাইসাইকেল। কিন্তু সেই ছাত্রীই বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে সে বাল্যববাহ ঠেকিয়ে ইউএনও’র কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিল। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বাল্যবিবাহ ঠেকানোয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন ওই মেয়ে তৎকালীন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীনের কাছ থেকে একটি বাইসাইকেল উপহার পেয়েছিলেন। আজ শুক্রবার সকালে মেয়েটির বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বিবাহ উপলক্ষে বাড়ির চারপাশে নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। মেয়েটি শ্বশুর বাড়ি চলে গেছে। তারা আরও জানান, জন্ম সনদ দিয়ে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। তবে মেয়েটির মা জন্ম সনদ দেখাননি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর মো. শাকিল আহমেদ জানান, তিনি গতকাল দুপুরে দাওয়াত খেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর আর কিছু জানেন না। এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, যে জন্ম সনদের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, তা ভুয়া হলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।