রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধানে ট্রাম্পকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষ করে ইরান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা এবং ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে। ইসরাইলি আগ্রাসন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ট্রাম্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের স্থাপন করা যুদ্ধবিরতি ট্রাম্প কতটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি—প্রয়োজনে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া—কূটনৈতিকভাবে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। অন্যদিকে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নেও ট্রাম্পের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান এবং টিকটকের মতো ইস্যুগুলোতে তার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পকে রাজনৈতিক বিতর্কের মুখোমুখি করতে পারে। তার এসব পদক্ষেপ কেবল অভ্যন্তরীণ নীতিতে নয়, বৈশ্বিক রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।