গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ৪৬০ দিনের সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা এসেছে। কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি নিশ্চিত করেন, রোববার (১৯ জানুয়ারি) গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তিনি সব পক্ষকে সতর্কতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি থাকবে। এই সময় গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে এবং বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিরা রয়েছেন। পাশাপাশি ইসরাইলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়টি আলোচিত হবে।
তৃতীয় ধাপে, গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে এবং অবশিষ্ট মৃতদেহগুলোর বিনিময় সম্পন্ন হবে। এই ধাপটি মিশর, কাতার এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। যদিও চুক্তিটি ইসরাইলি মন্ত্রিসভার কিছু কট্টরপন্থি নেতার তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে, তবে অধিকাংশ মন্ত্রী এর পক্ষে ভোট দেন। এখন বিশ্ববাসীর চোখ শান্তি বজায় রাখার এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকরের দিকে।