• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নূরের উপুর হামলার নেপথ্যে কী?

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২৫, ২১:৩৭ অপরাহ্ণ
নূরের উপুর হামলার নেপথ্যে কী?

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v80), quality = 80

সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
শুক্রবার(২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। মূলত সেই সংঘর্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক দফায় চেষ্টা চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এক পর্যায়ে আহত হন নুরুল হক নুরসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন শুক্রবার রাতে বিবিসি বাংলাকে জানান, ওইদিন জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। “এ সময় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা”- বলেন তিনি।
আর জাতীয় পার্টির অভিযোগ, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের অফিসে আগুন দিতে চেয়েছিল যেখান থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আর এসময় “মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা”এবং “সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ” হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলেছে আইএসপিআর।
কনিবার(৩০ আগস্ট) জাতীয় পাটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘোষণা দিয়ে আমাদের পার্টি অফিসের দিকে আসার চেষ্টা করা হয়। তখন পুলিশ সেটা ঠেকায়। আমাদের চোখের সামনে তাদেরকে আহত করার চেষ্টা হয়। তখন সেনাবাহিনী আসে”। তিনি বলেন, “এরপর আমি শুনেছি ওখানে সেনাবাহিনীর ওপরও তারা (গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা) আঘাত করে, সেনাবাহিনীর ওপর মশাল ছুড়ে মারে। তখন সেনাবাহিনী ও পুলিশ লাঠি চার্জ করতে করতে নুরুদের অফিসের সামনে যায়”।
তবে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে রাজনৈতিক এই সংকট বেশ কিছুদিন থেকেই চলছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত বছরের অক্টোবরের শেষে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। সে সময় গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছিল।
এরপর এ বছরের মে মাসে রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ডাকে জাতীয় পার্টি। ওই মিছিলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দলের বেশ বেশ কয়েকজন আহতও হন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমাদের ওপর হামলার পর দুই দল পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল। কিন্তু পরে আমরা দেখি, নুরদের বিরুদ্ধে যে মামলাটা সেটা স্তিমিত হয়ে যায়। প্রশাসনে সেখান থেকেও একটা আদেশ আসছে বলে আমরা শুনেছি”। “কোনো ক্ষেত্রে আমরা আগ বাড়িয়ে আমরা কাউকে অ্যাটাক করি না। আমাদের যখন আঘাত করা হয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষা করেছি বার বার”, বলছিলেন মি. পাটোয়ারী।
এই রাজনৈতিক বিরোধের বাইরেও মি. পাটোয়ারীর দাবি, জাতীয় পার্টির আরেক অংশের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরের ‘সখ্য’ রয়েছে। ওই নেতার ‘উসকানিতে’ এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, জাতীয় পার্টিকে আগামী নির্বাচনে বিরোধী বানাতে চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। শনিবার ঢাকা মেডিকেলের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, “এই চক্রান্ত জনগণ রুখে দেবে”।
খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা