উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়
দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ১৭:১২ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বিতীয় বৈশ্বিক উচ্চ রক্তচাপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ রোগ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে এখনও প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলমান পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ ও সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর বিএমএ ভবনে আজ (২৭ অক্টোবর ২০২৫) অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৩ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় বক্তারা জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে বিনামূল্যে ওষুধের প্রাপ্যতা বাড়ানো ও ধারাবাহিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এই রোগ নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “বাজেট ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা খুব দ্রুতই এগুলো কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি।” এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রিয়াদ আরেফিন জানান, চাহিদা অনুযায়ী প্রান্তিক পর্যায়ে সময়মতো ওষুধ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদ, জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বক্তারা বলেন, সরকারের আন্তরিকতা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টেকসই বিনিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের এই সাফল্য আরও সুসংহত করা সম্ভব।