• ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে দেখা মিলল হিমালয়ের বিরল প্রজাতির শকুন

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ১৯:২৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে দেখা মিলল হিমালয়ের বিরল প্রজাতির শকুন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ পৌর শহর থেকে বিরল হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন দি বার্ড সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের আমলাপাড়া মহল্লার পাপ্পু সেখের বাড়ি থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। তিনদিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দি বার্ড সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাসকে খবর দেন। পরবর্তীতে মামুন ও তার লোকজন পাপ্পুর বাড়িতে গিয়ে শকুনটি নিয়ে যান।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশবাদী সংগঠন দি বার্ড সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ডানায় ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ক্লান্ত শকুনটি মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। বিরল প্রজাতির এই শকুনের নাম (হিমালয় গৃধিনী)। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) উপদেষ্টা মোল্লা রেজাউল করিম ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাও প্রকৃতি সংরক্ষণ রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা যেখানে শকুনটি পাঠানোর নির্দেশ দেবেন, আমরা সেখানেই হস্তান্তর করব।
এ বিষয়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, হিমালয়ী শকুন বা হিমালয়ান গৃধিনী প্রজাতির শকুন সাধারণত হিমালয় পার্বত্য এলাকায় বাস করে। প্রতিবছর শীতের এই সময়ে বাংলাদেশে পরিযায়ন করে। পরিযায়নের পথে শকুনটি অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে দ্রুততম বিলুপ্ত হতে চলা প্রাণী শকুন। তাই শকুনমাত্রই বিশ্বে ‘মহাবিপন্ন ।
বাংলাদেশে শকুনের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে মাত্র ২৬০টি শকুন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কেটোপ্রোফেনের ব্যবহার, খাদ্য সংকট এবং বাসস্থান সংকটসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত এই পাখিটি হারিয়ে যাচ্ছে। শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেলে সুন্দর একটি পাখি হারানো পাশাপাশি দেশের মানুষ অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্কসহ পশু হতে সংক্রামক রোগের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে। বন বিভাগসহ আইইউসিএন শকুন রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাখিটির প্রতি আমাদের সদয় হওয়া খুবই প্রয়োজন।