Home অন্যান্য রাজধানী পল্লবীতে ঘণ্টা হিসাবে মোবাইল ভাড়া দেওয়া হয় ফ্রি ফায়ার গেমস খেলতে!

পল্লবীতে ঘণ্টা হিসাবে মোবাইল ভাড়া দেওয়া হয় ফ্রি ফায়ার গেমস খেলতে!

দখিনের সময় ডেস্ক :

রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধে ভাড়ায় মিলছে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলার মোবাইল। এ জন্য যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ভিডিও গেমসের দোকান।

দোকান গুলোতে ঘণ্টা হিসাবে মোবাইল ভাড়া দেওয়া হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেমসে ব্যস্ত থাকে।

প্রতি ঘণ্টায় গেমসের মোবাইল ভাড়া দেওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আর প্রতি গেমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

স্থানীয়রা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ফ্রি ফায়ার গেমেসের প্রতি আসক্তি জন্মেছে। এ জন্য তারা যত্রতত্র গড়ে ওঠা ভিডিও গেমসের দোকানকে দায়ী করছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) পল্লবীর ১১ নম্বর বাউনিয়াবাঁধ ঘুরে দেখা যায়, সুরভী স্কুল, আইডিয়াল হাইস্কুল ঘিরে এ-ব্লক, ই-ব্লক ও ডি-ব্লকে ৫০ টির মতো ফ্রি ফায়ার গেমস খেলার দোকান গড়ে উঠেছে।

প্রত্যেক দোকানে ২৫-৩০ টি মোবাইল রয়েছে।  ফ্রি ফায়ার খেলার জন্য এসব মোবাইল ঘণ্টা অথবা প্রতি গেম হিসাবে ভাড়া দেওয়া হয়।

অনেক শিক্ষার্থী খেলার টাকা জোগাড় করতে না পেরে বাসা থেকে টাকা চুরি করে। টিফিন কিংবা জাম-কাপড় কেনার কথা বলে এ টাকা দিয়ে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলে।

এ জন্য মাঝেমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও ভিডিও গেমস  দোকান মালিকরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। গত ২ দিন আগে বাউনিয়াবাঁধ এলাকার ভিডিও গেমসের সবচেয়ে বড় দোকান মালিক জুলহাসের সঙ্গে এক ভুক্তভোগী পরিবারের বচসা হয়।

বাউনিয়াবাঁধ আইডিয়াল হাইস্কুলের সিনিয়র এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মোবইলের গেমস খেলার দোকান বন্ধ না হলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। অনেকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। অথচ সেখানে না গিয়ে দোকানে মোবাইলে গেমস খেলে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চাদেরও ঠিকমতো শাসন করতে পারছি না। অভিভাকরা সতর্ক না হলে মোবাইলে গেমস খেলার আসক্তির কারণে তাদের মস্তিষ্ক ও চোখে বিরাট প্রভাব ফেলবে।

স্থানীয়রা বলেন, বাউনিয়াবাঁধে গেমস খেলার জন্য মোবাইল ভাড়া পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা  সারা দিন দোকানে বসে মোবাইলে গেমস খেলে। গেমশ খেলার টাকার জন্য অনেকে বাসা থেকে টাকা চুরি করে। সে টাকা দিয়ে এখানে মোবাইলে গেমস খেলে। অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে এটি নেশার মতো হয়ে গেছে। অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েকে না পেয়ে এখানে এসে দেখেন তারা মোবাইলে গেমস খেলায় ব্যস্ত। এতে পারিবারিক অশান্তিও বেড়েছে।

কামাল নামে স্থানীয় বাসিন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রি ফায়ার গেমস নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, সাবাধান হয়ে যান যারা ফ্রি ফায়ার নিয়ে বিজনেস করছেন। ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছে মোবাইল ভাড়া দিয়ে ফ্রি ফায়ার খেলা বন্ধ করুন। আদেশ ক্রমে বাউনিয়াবাঁধ যুব সমাজ।

এ দিকে অনেকে অন্য ব্যবসার আড়ালে ভিডিও গেমসের ব্যবসা করছেন। এ জন্য তারা ভিডিও গেমসের দোকানের সামনে মুদি, স্টেশনরি কিংবা জামা-কাপড় আয়রন করার মালামাল রেখেছেন। যাতে বাইর থেকে দেখে কেউ বুঝতে না পারে ভেতরে মোবাাইলের গেমস চলছে।

ডিএনসিসির ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু বলেন, আমি অনেকবার প্রশাসনকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, কোন কোন এলাকায় খেলা হয়, ঠিকানা দেন।  সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

সুশাসন কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?

সাধারণভাবে বলা হয়, আমলাতন্ত্রের মাধ্যমেই দেশ শাসিত হচ্ছে। কিন্তু চলমান ধারার ফলাফল এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব কী? জরুরি প্রশ্ন, সুশাসন কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? স্বীকৃত বিষয়...

গুড় বেশি খেয়ে ফেলছেন? জেনে নিন কী হয়

দখিনের সময় ডেস্ক: গুড় দিয়ে তৈরির নানা পদের আয়োজন। পিঠা, পায়েস, সন্দেশ থাকে এই তালিকায়। গুড় স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেই খাওয়া হয়। তবে কোনোকিছুই বেশি খাওয়া...

ঝগড়ার সময় যে কথাগুলো বলবেন না

দখিনের সময় ডেস্ক: রেগে গেলে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন সব শব্দ ব্যবহার করি যেগুলো আসলে সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়। আবার ঝগড়ার সময় একটু...

আবেগ কমাতে চান?

দখিনের সময় ডেস্ক: আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল। তবে এই গুণ থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনার কমনীয়তা এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণের কারণে অন্যের কাছে প্রশংসিত হবেন। কঠিন সময়ে...

Recent Comments