পাসপোর্ট শক্তির শীর্ষে আয়ারল্যান্ড, ১৮১তম বাংলাদেশ
দখিনের সময়
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২৫, ১৭:৫৪ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট সম্প্রতি প্রকাশিত পাসপোর্ট সূচকে আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্টকে পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে—ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত নাগরিকদের ওপর করের হার, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ, আন্তর্জাতিক সম্মান এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এসব বিবেচনায় ১০৯ স্কোর নিয়ে আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট শীর্ষে উঠে এসেছে। এই পাসপোর্টধারীরা ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করতে পারেন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং তৃতীয় স্থানে গ্রীস—দুটো দেশই পেয়েছে ১০৮.৫ স্কোর। এরপর আছে পর্তুগাল (১০৮) ও মাল্টা (১০৭.৫)। তবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যদিও তারা শীর্ষ পাঁচে নেই। তালিকার নিচের দিকটা আরও হতাশাজনক। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১৮১তম, স্কোর মাত্র ৩৮। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বর্তমানে ৫০টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল সুবিধায় ভ্রমণ করতে পারেন। বাংলাদেশের ঠিক আগেই রয়েছে নেপাল (৩৯.৫) এবং পরে আছে মিয়ানমার (৩৭.৫)।
এই তালিকায় সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের দেশ হিসেবে আফগানিস্তানকে রাখা হয়েছে (১৯৯তম)। এরপর রয়েছে ইরাক, ইরিত্র্রিয়া ও ইয়েমেন। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১৪৮তম (৪৭.৫ স্কোর), আর পাকিস্তান একেবারেই নিচের দিকে—১৯৫তম (৩২ স্কোর)। তবে আরও একটি পাসপোর্ট সূচক, হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশ কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে—৯৩তম। তবুও বৈশ্বিকভাবে শক্তিশালী পাসপোর্ট তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনো হতাশাজনক, যা দেশের আন্তর্জাতিক গতিশীলতার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।