দখিনের সময় ডেস্ক: চীন, ভারত, নাইরেজরিয়াসহ বহু দেশে জনসংখ্যা কমে আসবে। বিশ্বে এখন সবচেয়ে জনবহুল দেশ হচ্ছে চীন। চার বছর পর তাদের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ ১৪০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এরপর চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ২১০০ সাল নাগাদ কমতে কমতে চীনের জনসংখ্যা নেমে আসবে ৭৩ কোটি ২০ লাখে। আর চীনের জায়গায় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের জায়গা নেবে ভারত।
জাপানের জনসংখ্যা ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। সেবছর দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ। এরপর থেকে কমতে শুরু করে জাপানের জনসংখ্যা। এই শতাব্দীর শেষে এসে জাপানের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৫ কোটি ৩০ লাখের নীচে।
ইতালির জনসংখ্যায়ও এরকম নাটকীয় ধস নামবে। ৬ কোটি ১০ লাখ হতে তাদের জনসংখ্যা এই শতাব্দীর শেষে কমে দাঁড়াবে ২ কোটি ৮০ লাখে। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। মোট ২৩টি এরকম দেশ আছে, যাদের জনসংখ্যা অর্ধেকের নীচে নেমে যাবে। এই তালিকায় আরও আছে স্পেন, পর্তুগাল, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ।
ব্রিটেনের জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০৬৩ সাল নাগাদ সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাবে। কিন্তু ২১০০ সাল নাগাদ তা কমে দাঁড়াবে ৭ কোটি ১০ লাখে। ততদিনে জনসংখ্যার কমে যাওয়ার এই ব্যাপারটি সারা বিশ্বের জন্যই এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ১৯৫টি দেশের ১৮৩টিতেই জন্ম হার এত নীচে নেমে যাবে যে, জনসংখ্যা আগের অবস্থায় ধরে রাখা যাবে না।
২০১৭ সালে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা যেখানে ৬৮কোটি দশ লাখ, ২১০০ সালে তা কমে দাঁড়াবে ৪০ কোটি দশ লাখে। ২০১৭ সালে যেখানে ৮০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১০ লাখ, ২১০০ সালে তা দাঁড়াবে ৮৬ কোটি ৬০ লাখে। প্রফেসর মারে বলেন, “এটি এক বিশাল সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আমি এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। কারণ আমার আট বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। আমি চিন্তা করছি তখনকার পৃথিবীটা কেমন হবে।
তবে একটি মহাদেশ এর ব্যতিক্রম। আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে দেশগুলোর জনসংখ্যা ২১০০ সাল নাগাদ তিনগুণ বেড়ে তিনশো কোটিতে পৌঁছাবে। এই গবেষণা বলছে, জনসংখ্যার দিক থেকে তখন নাইজেরিয়া হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। তাদের জনসংখ্যা বেড়ে হবে ৭৯ কোটি দশ লাখ। প্রফেসর মারে বলেন, “তখন আরও অনেক দেশে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আরও অনেক মানুষ থাকবেন। যদি তখন অনেক দেশেই আফ্রিকান বংশোদ্ভুত বিরাট জনগোষ্ঠী থাকে, তখন বর্ণবাদ নিয়ে বিশ্বকে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, সেগুলো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।