আলম রায়হান
অনেকেই মনে করেন, কিংস পার্টির অতীত সাফল্য-ব্যর্থতার ধারা বিবেচনায় রেখেই আর একটি কিংস পার্টি গঠনের ধারায় মাসখানেক আগে কিছুটা ভাটির টান লাগলেও কখনো এ উদ্যোগ একেবারে থেমে যায়নি। বরং ক্রমশ দৃশ্যমান হয়েছে কিংস পার্টি। তবে এটি এখনো মায়ের কোলে, বড়জোর হামাগুড়ির পর্যায়ে রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের। এদিকে কিংস পার্টির ভবিষ্যত নিয়ে নানান মুনির নানা মত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, অতীতের ব্যর্থতার ধারা ছাপিয়ে সফল হতে পারে এবারের উদ্যোগ। তাদের মতে জিয়া-এরশাদের সাফল্যের ধারার যুক্ত হতে পাওে আরএকটি কিংস পার্টি। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক এবং সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
বলা হয়, চিরকালের সুবিধাবাদীদের পাশাপাশি সম্ভাব্য কিংস পার্টির মূল লক্ষ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘরে উদভ্রান্ত নেতা-কর্মী এবং জাতীয় পার্টির বিধ্বস্ত গৃহবাসী। নজরের বাইরে নেই বিএনপির ঘরে থাকা ক্লান্ত ও অতি সুবিধাবাদী শ্রেণীও। সূত্রমতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গড়ে ওঠা ‘বিশেষ ছাত্র শ্রেণী’ এবং বাতিল করে দেয়া সারাদেশের মেয়র ও কাউন্সিলর হতে পারেন নতুন কিংস পার্টির প্রাথমিক ভিত্তি। এরই মধ্যে এদের দলে টানার প্রয়াস অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়েছে। এমন কী এই প্রচেষ্টায় কৌশলগত ত্রুটি থাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে ১৯ ডিসেম্বর দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছে। বদিউল আলম মজুমদারের মতো ‘যত দোষ নন্দঘোষ’ তরিকায় সাংবাদিকদের উপর দায় চাপিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেনি সারজিস আলম। বরং তিনি উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বিবেচনায় রাখা প্রয়াজন, হালুয়া-রুটির জন্য হাড্ডি প্রেমী অনুগত প্রাণীটির মতো রাজনীতিতে লোলুপ শ্রেণীকে নিয়েই মূলত রাজনৈতিক দলের অববয়ব গড়ে ওঠে। এবং রাজনৈতিক দল টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও হালুয়া-রুটির স্পষ্ট প্রভাব থাকে। আর প্রতিটি দলেই থাকে বঞ্চিত-অবাঞ্চিত-বহিস্কৃত-তিরস্কৃত নেতা-কর্মী। এরা জোয়ারে পানির জুতসই আলামত দেখলে জিয়ল মাছের মতো পুরনো পুকুর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বের হয়। এদের কেউ নতুন পানি সন্ধান পায়, কেউ আবার জলহীন মাটিতে আটকা পড়ে।