স্টাফ রিপোর্টার ॥
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হোসেন নেগাবান মন্টু। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এস এম জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মিরাজ মাহমুদ। এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেযেছেন সহ-সভাপতি পদে এসএম জাকির হোসেন, ৪৫ ভোট।
নানান টানপোড়েন ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। গতকাল বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বরিশাল প্রেসক্লাবের ভোট গ্রহণ চলে। প্রেসক্লাবের ৮০ জন সদস্য ভোটার।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এ্যাড. মুহা. ইসমাঈল হোসেন নেগাবান মন্টু ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কাজী নাসিরউদ্দিন বাবুল পেয়েছেন ৩১ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত কাজী মিরাজ মাহমুদ পেয়েছেন ৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাজী আল মামুন পেয়েছেন ৩১ ভোট। সহ-সভাপতি পদে এসএম জাকির হোসেন ৪৫ ও পুলক চ্যাটার্জি ৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে অপর প্রার্থী গোপাল সরকার পেয়েছেন ২৬ ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫ ভোট। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোফাজ্জেল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মো. জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩৩ ভোট। কোষাধাক্ষ্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোশারেফ হোসেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯। প্রতিদ্বন্দ্বি জিয়া শাহীন পেয়েছেন ৩২ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন রুবেল খান। তার প্রাপ্ত ভোট ৪২। প্রতিদ্বন্দ্বি এম মিরাজ হোসাইন পেয়েছেন ২৯ ভোট। সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে বিজয়ী সুখেন্দ এদবর পেয়েছেন ৩৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি আযাদ আলাউদ্দিন পেয়েছেন ৩১ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত দেওয়ান মোহন পেয়েছেন ৩৬ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি আরিফিন তুষার পেয়েছেন ৩৪ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে বিজয়ী মো. নাসিরউদ্দিন পেয়েছেন ৪০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি এম লোকমান হোসেন পেয়েছেন ৩১ ভোট। সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাড মানবেন্দ্র বটব্যাল, এ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, নুরুল আলম ফরিদ, মো. মিজানুর রহমান, কেএম নয়ন, সৈয়দ দুলাল, সাগর বৈদ্য।
বরিশাল প্রেসক্লাবের এবার ছিলো স্মরণকালের সব চেয়ে নিরুত্তাপ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও জটিলতম নির্বাচন। এদিকে কেবল মামলা হয়, এবারের নির্বাচনে ঝামেলা হয়েছে ভোট গণনা নিয়েও। ফলে কয়েকটি পদে পুন:গণনা করতে হয়েছে কাস্ট হওয়া ভোট। এবার প্রেসক্লাবের ১৭ সদস্যের কার্যকরী কমিটিতে স্থান পেতে দুটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩৪জন প্রার্থী।
প্রেসক্লাবের সদস্য নয় এমন দুইজন ব্যক্তির করা মামলার প্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে স্থিতিবস্থা জারী করে পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেয়। এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে রিট পিটিশন করেন প্রেসক্লাব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমএম আমজাদ হোসাইন। গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চে ওই রিটের উপর শুনানী শেষে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন বেঞ্চের আদেশে প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের স্থিতিবস্থা বাতিল করেন। এই আদেশের ফলে প্রেসক্লাবের নির্বাচন সহ নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিবন্ধকতা দূর হয়।