• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্যে ভিন্নমত এস আলম গ্রুপের

দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্যে ভিন্নমত এস আলম গ্রুপের
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
“হাসিনার দোসররা ব্যাংক থেকে লুট করেছে১৭০০ কোটি ডলার”- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুরের এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে এস আলম গ্রুপ। সাইফুল আলমের পক্ষে ল ফার্ম কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভানের দেওয়া এক বিবৃতিতে এস আলম গ্রুপ বলেছে, আহসান মনসুরের এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, “এস আলম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতী সরকারের সমন্বিত প্রচারণা যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিগুলোকেও সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে অবদান রেখেছে। গ্রুপের রেকর্ড এবং অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গভর্নরের অভিযোগগুলোকে আশ্চর্যজনক এবং অযৌক্তিক বলে দেখতে পাচ্ছি…।”
প্রসঙ্গত এস আলম গত এক দশকে ব্যাংকিংয়ে বৈচিত্র্য এনেছেন দাবি করে গ্রুপের ওয়েবসাইট বলছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের “উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ” রয়েছে। অবশ্য, ঢাকা পেস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা বলেছেন হাসিনার শাসনামলে নেতৃস্থানীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “বোর্ডের সদস্যদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হোটেলের মতো অন্যান্য স্থানে নিয়ে যায় এবং বন্দুকের মুখে তাদের ব্যাংকের সমস্ত শেয়ার এস আলমের কাছে বিক্রি করতে এবং তাদের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলত। একের পর এক ব্যাংকে তারা এটা করেছে।”
বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের সাবেক সিইও এফটিকে বলেছেন, জোরপূর্বক ব্যাংক দখলের অংশ হিসাবে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশের অন্যতম বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৎকালীন সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাপে পড়েছিলেন। মান্নান বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাকে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে তুলে নেওয়া হয় এবং পরে একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার সাথে তাকে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য পুরো একটি কার্যদিবস বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত মান্নান। তিনি বলেন, “তারা ভুয়া স্টেশনারি নিয়ে ব্যাংকের চিঠি তৈরি করে। আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।”