• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালের এই আলুবিজ যাবে রান্না ঘরে?

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ১৮:৩৯ অপরাহ্ণ
বরিশালের এই আলুবিজ যাবে রান্না ঘরে?
সংবাদটি শেয়ার করুন...
ইলহাম জামান রূপম:
আলু বীজ রোপনের উপযুক্ত সময়সীমা হচ্ছে অক্টাবর থেকে ২০ নভেম্বর। বিএডিসি’র বরিশাল হীমাগারে বস্তাবন্দি এই আলু বীজের ছবি তোলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। তা হলে বিএডিসি’র গুদামে থাকা এই আলু বীজ কি কৃষকের চাষের জমিতে না গিয়ে রান্না যাবে ঘরে? প্রসঙ্গত, তালিকাভুক্ত ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে আলুবীজ বিক্রি করা হয়।
বরিশাল বিএডিসির বীজ বিপনন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নানান ধরনের অভিযোগ আছে। এই অভিযোগ তুঙ্গে উঠেছে এবার আলু বীজ নিয়ে। এমনকি রহস্যজনক একটি সাজানো অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গিয়েছিলো বলে জানাগেছে। উল্লেখ্য, বিএডিসির আলু বীজের প্রতি কেজির দাম ডিলার পর্যায়ে প্রকার ভেদে ৫৩ থেকে ৬৯ টাকা। এদিকে বাজারে যেকোন আলুর দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকার উপরে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারের মওসুমে চাষ করার জন্য সমুদয় আলু বীজ বিক্রি হয়েগেছে। হীমাগারে এখনো যে অলু বীজ রয়েছে তা ডিলারদের ডেলিভারী নেবার অপেক্ষায়। উল্লেখ্য, তালিকাভূক্ত ডিলারদের মাধ্যমে আলু বীজ বিতরন করা হয়। বিধি অনুসারে কেজি প্রতি ৬ টাকা অধিক দামে কৃষকদের কাছে আলুবীজ বিক্রি করা কথা ডিলারদের। যদিও এই নিয়ম মানা হয় না। বরং আরো অনেক উচ্চ দামে বিক্রি করার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)-এর নানান কর্মকান্ডের মধ্যে একটি হচ্ছে কৃষকদেরকে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আলু বীজ। প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগে প্রধানত ভোলা এবং পাথরঘাটায় আলুচাষ হয়। বিভাগের অন্য এলাকা আলু চাষের জন্য উপযুক্ত নয় বলে জানাগেছে। সূত্রমতে, এবারের মওসুমে কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বরিশাল বিএডিসি’র হিমাগারে আলুবীজ এসেছে সাড়ে ১৫শ’ মেট্রিক টন। বরিশাল নগরীর বান্ধরোডে অবস্থিত এই হীমাগারে ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন।