এ ব্যাপারে কোনোই সংশয় নেই, বিগত সরকারের অনেক অপকর্মের মধ্যে একটি হচ্ছে, প্রশাসনকে দলদাস করে ফেলা। পটপরিবর্তনের পর এই দলদাসদের খুবই সাবধানতার সঙ্গে চিহ্নিত করা প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিতদের মধ্যে ৭৬৪ জনের তালিকা করার পদ্ধতিতে আমলাদের মধ্যে পরিত্যাজ্যদেরও চিহ্নিত করা উত্তম ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।
বরং প্রশাসন সংস্কার কমিশনকে কেন্দ্র করে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে ধারণা অনেকেরই। পাশাপাশি বর্তমান সরকারেরপ্রশাসনেও দলদাস সৃষ্টি হয়েছে। এটি হচ্ছে চরম হতাশার বিষয়।
এদিকে চাকরিতে ‘বঞ্চিত আলখাল্লা’ পরা একদল কর্মকর্তার হা-হুতাশ ও লম্ফঝম্ফ সীমা ছাড়িয়েছে। আর সরকার পরিচালনার মেরুদণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত আমলাতন্ত্র যে কোন অবস্থানে নেমেছে, তা দেশবাসীর কাছে নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে ডিসি নিয়োগকাণ্ডকে কেন্দ্র করে।
কথিত ‘বঞ্চিতদের’ অবাঞ্ছিতদের চাপে চিড়েচ্যাপটা হয়ে একযোগে সারা দেশে ডিসি নিয়োগ কি সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে দেওয়া গেছে? মনে হয় না! আর এ বিষয়ে টংকা লেনাদেনার খবর তো মূলধারার গণমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা যথার্থই ‘আসল সরকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু সেই আসলের দশা কী?
দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ২২ জানুয়ারি ২০২৫।
শিরোনাম ‘আমলাতন্ত্রের মৌচাকে ঢিল’
# আগামী কাল, স্বৈরাচারের দোসর’ তকমায় অনেক দক্ষ কর্মকর্তা সাইজ