আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চার মেয়াদে বাস্তবে প্রধান বিরোধী দল ছিল বিএনপি। এ সময় অনেক দাবি-দাওয়া তুলেছে সাবেক এ শাসক দলটি। এর মধ্যে প্রধান ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং পরে যুক্ত হয় দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি। কিন্তু খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রিত মুক্তি মিললেও আর কোনো দাবিই অর্জিত হয়নি। বরং নানান চাপে চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা হয়েছে বিএনপির।
গত বছর ২৮ অক্টোবরের পর মাঠে নামার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছিল বিশাল জনসমর্থনের এই দলটি। এই বিএনপি ‘মুক্ত স্বাধীন’ হয়েছে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একদফার টার্নিং পয়েন্টে। এ আন্দোলনে ঝরেছে হাজারো প্রাণ। সমর্থন থাকলেও এই আন্দোলনে বিএনপির অর্থবহ অংশগ্রহণ কতটা ছিল, তা নিয়ে নানান প্রশ্ন আছে। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতের পরই প্রধান বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে আওয়ামী লীগমুক্ত বাংলাদেশে বিএনপিকে যে তৎপরতায় জনগণ দেখেছে এবং দেখছে, সেটি অনেকের বিবেচনায় মোটেই সুখকর নয়।
হাত বদলের
দখল বানিজ্য
কারও কারও মতে, ৫ আগস্ট থেকে বিএনপিকে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন থাকাকালে আওয়ামী প্রবণতায়, যা দেখে অনেকেই বলেছেন, ‘এ কী দেখিলাম।’এই নামে প্রয়ায়ত আতাউর রহমান খানের একটি বই ছিলো, ‘এ কি দেখিলাম।’ এই বইয়ের কেন্দ্রিয় চরিত্র ছিলেন বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন ফারক। বই প্রসঙ্গ ভিন্ন। চলমান প্রসঙ্গ হচ্ছে, হাত বদলের দখল বানিজ্য এবং কোনকোন ক্ষেত্রে দখল তান্ডব দেখার জন্য লাখো ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে হাজারো আদম সন্তান প্রাণ দেয়নি।
আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করা নয়, বিপুল ত্যাগের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য যাই থাক না কেন, ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে একটি সঠিক অবস্থানে টেনে তোলা। এ ক্ষেত্রে পুরোনো তরিকায় নতুন দখলবাজি এবং যেনতেন ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান মোটেই সহায়ক হওয়ার কথা নয়। এরপরও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনই চূড়ান্ত কথা। এ হিসেবে বাংলাদেশেও নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু কবে এবং কীভাবে?
আইনশৃঙ্খলা মোটেই
স্বস্তির নয়
বিগত শাসন আমলে নানান ক্ষেত্রে অরাজক অবস্থা জেঁকে বসেছিল। ফলে বর্তমান সরকারের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হতে অবশ্যই বেশ সময় লাগবে। বিশেষ করে অর্থনীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে অবস্থায় বিরাজমান, তা মোটেই স্বস্তির নয়। পুলিশ বাহিনীকে এখনো পুরো কার্যকর করা যায়নি। এদিকে বৈধ-অবৈধ অস্ত্রে ঝনঝনানিতে অনেকেই উদ্বিগ্ন। যদিও আওয়ামী অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করার একটি কাগুজে উদ্যোগ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে দেওয়া অস্ত্রের সব লাইসেন্স। এ অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু জমা দেবে কে? সবাই তো পলাতক। আর লাইসেন্স ছাড়া কি আর কোনো অস্ত্র নেই আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে? আছে! আর অস্ত্র কি শুধু আওয়ামী লীগের কাছেই থাকে! অনেকের কাছেই অস্ত্র আছে। এসব অস্ত্রের কী হবে! থানা ও পুলিশের কাছ থেকে যে অস্ত্র লুট হয়েছে, সেগুলো কি উদ্ধার করা গেছে? আর বন্ধুদেশ ভারত থেকে শুধু বানের জল আসে, তা তো নয়। বানের জলের মতো অস্ত্রও তো আসতে পারে। সব মিলিয়ে অস্ত্র নিয়ে ভাবতে হবে। এ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না। অস্ত্র উদ্ধারের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করলে তা কি তিন পাগলের মেলার চাইতে ভিন্ন কিছু হবে? বরং আরেকটি রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। আর আওয়ামী তরিকায় নির্বাচন করে কি বর্তমান সরকার মুখরক্ষা করতে পারবে?
সংস্কার করতে হবে
নির্বাচন ব্যবস্থা
বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, শেখ হাসিনা সরকারের ওপর জনরোষের প্রধান কারণ হচ্ছে, ভোটদানের অধিকার নগ্নভাবে হরণ করা। এ হরণকর্মের জন্য সাজানো নির্বাচন কমিশন তো একমাস বিরাজমান ছিলো। ৫ আগস্ট পদত্যাত করেছে। এ কমিশন গঠন করতে হবে। সংস্কার করতে হবে নির্বাচন ব্যবস্থা। আর এটি কোনো অহি নাজিলের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। এজন্য বেশ সময় এবং পরিশ্রম প্রয়োজন। এরপরও বিএনপির নেতারা নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে ঘনঘন আওয়াজ দিচ্ছেন এবং আওয়ামী তরিকায় সারা দেশে দখলবাণিজ্যে যারা নিয়োজিত, তাদের বড় অংশই বিএনপি পরিচয়ের চেনামুখ। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে বিএনপি ভুল বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
অনেকেই মনে করেন, চলমান বাস্তবতায় নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির অস্থিরতা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণে বেমানান। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের রোডম্যাপ দাবি করা পর্যবেক্ষক মহল সময়োপযোগী বলে বিবেচনা করছেন না। এর মধ্যে আরেক আওয়াজ দিয়ে বসলেন বিএনপির কার্যকর মুখপাত্র দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষের যারা আছেন, তাদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হচ্ছে না। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো প্রশাসনে বসে আছে।’ ‘কাউয়া কাদের’ ট্যাগ পাওয়া ওবায়দুল কাদেরের মতো তিনি কাব্য করে এও বলেছেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বৈরশাসকের ইঁদুররা বসে রয়েছে, তারা মাঝেমধ্যে ঐরাবত তথা হাতি হওয়ার চেষ্টা করছে।’ কে জানে রিজভী আহমেদ আবার ‘হস্তী’ ট্যাগ লাভ করেন কি না।
প্রশাসনে জার্সি বদল
অনেকেই প্রশাসনের মজ্জাগত প্রবণতা জানেন। পুরোনো ধারায়ই প্রশাসনের লোকেরা এরই মধ্যে জার্সি বদল করে ফেলেছেন। এ-ধারায় যারা সুবিধা করতে পারেননি, তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। প্রশাসনে এখন সবাই আওয়ামীবিরোধী! অনেক স্থানে আবার বিএনপি ঘরানার লোকেরা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তাদের অনেকেই বেশ অ্যাগ্রেসিভ। এ ব্যাপারে অতি ছোট একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। মাসে অন্তত তিন কোটি টাকা লস দেওয়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা আওয়ামী সরকারের সময় আংশিক নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী ট্যাগের ইউনিয়ন। এখন পুরো নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপির ধ্বজাধারীরা। রাষ্ট্রের শ্বেতহস্তী হিসেবে পরিচিত সংস্থাগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা এ সংস্থা নিয়ন্ত্রণের প্রধান হোতা হচ্ছেন একজন কেরানি। তিনি চেয়ারম্যানের সমান্তরালে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, এ নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে উল্লিখিত সংস্থার এমন একজন সাবেক চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, যিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অথচ উল্লিখিত সংস্থায় বিএনপি ঘরানার ইউনিয়নের তাণ্ডবের বিষয়ে কিছুই জানেন না বাম রাজনীতি থেকে বেড়ে ওঠা বিএনপির ওই শুদ্ধতম নেতাটি। অথচ সবকিছুই চলছে তার নামে, ভারতের সিংহাসনে রামের খড়ম রাখার মতো। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারি সব সংস্থা গত ১৫ বছর নিয়ন্ত্রণ করেছেন আওয়ামী ঘরানার কর্মচারী-কর্মকর্তারা। এখন অধিকতর আগ্রাসীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বিএনপির আলখেল্লা পরে। এ ধারা কি সংস্কার করা প্রয়োজন নয়? ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কি এ ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? আগের ক্ষমতার মেয়াদেইবা কতটা কী করতে পেরেছে?
ডুবো চরের মতো
জেগেছে বিএনপি
মামলা-মোকদ্দমার পরও সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে সারা দেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভও ছিল। কিন্তু বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও জোটের আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আন্দোলন ও ভোট বর্জনের মুখেও ৭ জানুয়ারি কাগুজে সংসদ নির্বাচন করতে পেরেছে সরকার।
এরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা আবার নতুন করে জেঁকে বসে। আর বিএনপির ইউনিয়নকর্মী থেকে শুরু করে মহাসচিব পর্যন্ত এমন কোনো নেতা নেই, যার বিরুদ্ধে মামলার তাণ্ডব চালায়নি আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখার দেওয়া হিসাবমতে, ২০০৯ সাল থেকে গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০০। আসামির সংখ্যা ৫০ লাখের ওপর। মামলা-হামলার চাপে বিএনপি যখন খাবি খাচ্ছে, তখন এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের ঢেউ। এ ঢেউয়ের তোড়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে গেছে। আর ডুবো চরের মতো জেগে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু এ জাগরণের পর দলটি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে দখলবাণিজ্য নির্বাচন প্রশ্নে অস্থিরতা।
জমাটবাঁধা আবর্জনা পরিষ্কার
করানো বুদ্ধিমানের কাজ
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, নিজের স্বার্থেই রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে জমাটবাঁধা আবর্জনা বর্তমান সরকারকে দিয়ে পরিষ্কার করানো বিএনপির জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য নিশ্চয়ই সরকারকে সময় দিতে হবে। আর এ সময়টায় জামায়াতকে অনুসরণ করে বিএনপি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারে। সাবেক এ শাসক দলটির বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, বিএনপির প্রতি বিশাল জনসমর্থনের বড় অংশই কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি নেগেটিভ ধারণা থেকে উৎসারিত। পাশাপাশি বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও কিন্তু তেমন মজবুত নয়। ছাত্ররা ৩৬ দিনে যা পেরেছে, তা কিন্তু ১৫ বছরেও পারেনি বিএনপি। সঙ্গে গভীরের আরও অনেক বাস্তবতা আছে, যা বিএনপিকে বিবেচনায় রাখতে হবে। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো গুরুতর অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া যায়নি। অন্যদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো বিদেশে। বোধগম্য কারণেই দেশে তার শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো প্রত্যাশিত মাত্রায় মজবুত করা যাবে না—এমনটাই মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল। এখন বিএনপির ভেতর-বাইরে বড় প্রশ্ন হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে, তারেক রহমান দেশে আসবেন কবে? বিরাজমান বাস্তবতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি বড় ফ্যাক্টর। তাকে ‘ভবিষ্যৎ’ উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। বিএনপি নেতাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে ২১ আগস্ট এক সেমিনারে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে আসবে, সেই গঠনতন্ত্র তৈরি হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের দাবি তোলা যাবে না। ফরহাদ মজহার বলেন, বর্তমান সংবিধানের জন্য লড়াই হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের পরপরই বিএনপির সমাবেশের সমালোচনা করে তিনি যথার্থই বলেন, ‘এতে ভুল বার্তা গেছে।’
জামায়াতের কৌশল থেকে
শেখার আছে অনেক কিছু
এদিকে অনেকেই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে অস্থির না হয়ে আওয়ামী লীগের পরিণতি এবং জামায়াতের সাম্প্রতিক কৌশল থেকেও বিএনপির শেখার আছে অনেক কিছু! বেশ খাপছাড়া শোনালেও এটিই বাস্তবতা। ৫ আগস্টের পর জামায়াত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা জোরদার করেছে। পুরোপুরি নজর দিয়েছে জনসংযোগের ওপর। দলটির কার্যক্রমে এখন প্রধানত তিন ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এক. ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের পাশে দাঁড়ানো এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান। দুই. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা প্রদান এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময়। তিন. যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়।
জামায়াতের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বৈঠক থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে এ ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গত ১৬ বছরের প্রেক্ষাপটে অন্য এক সুযোগ। এদিকে রাজনীতিতে ক্ষোভ-ঘৃণা-ভালোবাসা অনেকটাই কচুপাতার পানির মতো। যে কারণে একসময় ঘৃণিত আইয়ুব খান ও জেনারেল এরশাদের মতো ব্যক্তিরাও কিন্তু পজিটিভ ইমেজে স্থান পেয়েছেন জনমনে। মানুষের আবেগ-অনুভূতি দুরন্ত বাঁদরের মতো এই ডাল সেই ডাল করে, স্থির থাকে না। কাজেই নিজের ভিত্তি শক্ত না করে অন্যের অর্জন নিজের মুকুটে ধারণ করার মতো বিভ্রমে রাজনীতিকদের আক্রান্ত না হওয়াই ভালো। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের রাজার মুকুটে জ্বলজ্বল করা হীরক খণ্ডটি যে ভারতের, তা কিন্তু কয়েকশ বছরেও আড়াল করা যায়নি। এ থেকে কি শিক্ষা নেবে না বিএনপি?
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। শিরোনাম, ‘বিএনপির অস্থিরতা এবং বাস্তবতা’
দখিনের সময় ডেস্ক:
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক-এগারোর সরকারের মতো দুই নেত্রীকে মাইনাস করার কোনো কৌশল এ সরকারের...
দখিনের সময় ডেস্ক:
সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক-এগারোর সরকারের মতো দুই নেত্রীকে মাইনাস করার কোনো কৌশল এ সরকারের...
দখিনের সময় ডেস্ক:
সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের...
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept”, you consent to the use of ALL the cookies.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.