দখিনের সময় রিপোর্ট:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, মনোনয়ন আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনতে পারে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। এর মানে কী? তিনি কি বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন?
এর আগে, সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি জানি না বাপের মতো বেটিরও কপাল আছে কি না। বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র। সময়ই এর উত্তর দেবে। রুমিন ফারহানা বলেন, আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। এ সময়, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রুমিন ফারহানা শহীদ ওসমান হাদী এর জানাজার কথা উল্লেখ করে বলেন, ঢাকায় তার জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। ওসমান হাদীর পর কার নাম আসবে আমি জানি না। নির্বাচন বানচাল করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যেমন চেষ্টা করছে, তেমনি দেশের ভেতরেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনোদিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রচার-প্রচারণা থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত সহিংসতা ও সন্ত্রাসের আশঙ্কা রয়েছে। থানা থেকে লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। এ সময়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রার্থীদের অস্ত্র দেয়ার কথা বলা মানে মবকে এক ধরনের আইনগত বৈধতা দেওয়া। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ। গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মানুষ ও গণমাধ্যম। আপনাদের মোবাইল ও ক্যামেরার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে সেটাকে আল্লাহর ফয়সালা হিসেবে মেনে নেব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. মালু মিয়া। এতে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।