• ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ১৯:৩৭ অপরাহ্ণ
জাতীয় পার্টি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে?
সংবাদটি শেয়ার করুন...

বিশেষ প্রতিনিধি:
জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য আওয়ামী শরিকদের প্রশ্নে শেষপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে ‘অনিশ্চয়তা’ ও ‘শঙ্কা’ নিয়ে সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। তবে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে সীলখাওয়া জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে ভিন্নভিন্ন অবস্থানে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই ইস্যুতে বিএনপি ‘নমনীয়’ অবস্থানে আছে বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানাচ্ছে। তবে ঘোর আপত্তি জামায়াত ও এনসিপিসহ কয়েকটি দলের।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টিই প্রধান বিরোধী দল ছিল বিগত তিনটি সংসদ, অর্থাৎ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সমঝোতা এবং সংসদে ভূমিকার কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ তকমা পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পতনের পর জাতীয় পার্টির জন্য জুটেছে ‘ফ্যাসিবাদের দোসরের’ তকমা। অতীত ভূমিকার জন্য জাতীয় পার্টিকে খেসারত দিতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে ১৬ মাস ধরে। দলটি রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে। এমনকি দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি তুলছে জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল। এখন জাতীয় পার্টি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারলেও তারা প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না-এই আলোচনাও চলছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর ১২ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়লেও ভোটের মাঠে নানা সমীকরণে তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বর্তমানে সক্রিয় দলগুলো। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর রাজনীতি যখন নির্বাচনমুখী, এর মধ্যেও জাতীয় পার্টি এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকেরা নিশ্চিত নয় যে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না।
প্রসঙ্গত, ১৪ দলীয় জোটের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদসহ শরিক দলগুলোও আওয়ামী লীগের শাসনে ব্যস্ত ছিল আসন ভাগাভাগির সমঝোতার মাধ্যমে সংসদে যাওয়া এবং ক্ষমতার ভাগ পাওয়া নিয়ে। ফলে এই দলগুলোর নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল থেকে দুর্বল হয়েছে এবং অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। আওয়ামী লীগের এই মিত্রদেরও ভোটের মাঠে নামার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দল। যদিও বিএনপির অবস্থান নমনীয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কারও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিকূল পরিবেশে এককভাবে নির্বাচন করার সাংগঠনিক অবস্থা আছে কি না, সেই প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছে।