দখিনের সময় ডেক্স:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তান্ডব মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়ার কারিগররা চেষ্টা করছেন, প্রকৃতিকে তার আপন গতিতে ফিরিয়ে দিতে। ফলে বেড়েছে পাটের গুরুত্ত্ব। পাটজাত পণ্য হতে পারে মানবজীবনে অত্যাবশ্যকীয় পরিবেশবান্ধব উপকরণ। এধারায় ধারায় বাংলাদেশের পাটের জুতা যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। এই জুতার বৈশিষ্ট্য হলো ব্যবহারের পরে ফেলে রাখলে এটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। ফলে এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব।
ঝিনাইদহের পাটের জুতা বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাহিদা অর্জন করেন চলেছে। ২০১৭ সাল থেকে এখানকার উৎপাদিত পাটের জুতা দেশের বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। কালীগঞ্জের এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেডের পরিবেশবান্ধব এ পাটের জুতা তৈরীতে স্থানীয় ৪ শতাধিক নারী যুক্ত রয়েছেন। এদের বেশীরভাগই গৃহিনী। বাড়ির কাজের পাশাপশি তারা হাতে হাতে এ জুতা তৈরী করে চলেছেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে এসব পরিবার। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা আয় করায় সংসারে বেশ ভালভাবেই স্বচ্ছলতা ফিরেছে।
দেশের সোনালী আঁশ খ্যাত এই পাট যখন নানাভাবে লোকসানের মুখে পড়তে চলছে তখন দেশিয় এ সম্পদ ধরে রাখতে অজপাড়া গাঁ বা মফস্বল অঞ্চলের এই রঘুনাথপুর গ্রামে পাট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পায়ে ব্যবহৃত জুতা। এলাকায় সাড়া ফেলেছে এই জুতার কারখানা। এখানে তৈরি হওয়া পাটের জুতা ফ্রান্স, প্যারিস, জার্মানি, ইতালি, স্পেনসহ চীন-জাপানেও রপ্তানি করা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে হাতে তৈরি এই জুতার ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, এই কারখানায় ৬টি ধাপে একটি জুতা তৈরি করা হয়। প্রথমে সোল্ড তৈরি হয় রাবার দিয়ে। জুতার বাকি অংশ তৈরি হয় পাট দিয়ে। আর এই কাজগুলো সম্পুর্ণ হাতের মাধ্যমে করা হয়। প্রতি মাসে তাদের কারখানা থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার জুতা রপ্তানি করা হচ্ছে।