Home অন্যান্য নির্বাচিত খবর পথে পথে গ্যাস লাইনে লিকেজ, তিতাসের নথিতে ৭০ হাজার

পথে পথে গ্যাস লাইনে লিকেজ, তিতাসের নথিতে ৭০ হাজার

দখিনের সময় ডেক্স:
পথে পথে গ্যাস লাইনে লিকেজ।  তিতাস গ্যাসের নথির হিসেব অনুসারে রাজধানী ও আশাপাশের এলাকায় ৭০ হাজার রাইজারে লিকেজ রয়েছে। এর কিছু মেরামত হলেও বাকিটা পড়ে থাকে। লিকেজ থেকে বাতাসে ছড়াচ্ছে দূষণ আর জমাট গ্যাসে তৈরি হচ্ছে মৃত্যুফাঁদ। নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত ধারণা, গ্যাসের লিকেজেই ঘটেছে প্রাণঘাতি ওই ঘটনা।
বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাসের হিসেবে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় মোট ১০ লাখ রাইজার রয়েছে। এই ব্যবস্থার ৭ ভাগ রাইজারে লিকেজ পেয়েছে তারা। তবে, অগুনতি অবৈধ সংযোগ এবং মরচেধরা পুরোনা লাইন এই হিসাবে বাইরে। গ্যাস লিকেজ এবং অবৈধ সংযোগের ফলে প্রতি বছরই কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। যার চুড়ান্ত দায় নিতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।
রাজধানী ও আশপাশে অনেক এলাকা আছে, যেখানে মাটি না খুঁড়ে শিশুরাও বলে দিতে পারে লাইনে লিকেজ, বিপদ আছে। এরকমই এক জায়গা দেখিয়ে এক শিশু বলে, এক বছর ধরে এখানে গর্ত করা ও গ্যাস বের হচ্ছে। কেউ যদি সিগারেট খেয়ে এখানে ফেলে তাহলে আগুন ধরে যাবে। অনেক দুর্গন্ধও আছে।
টঙ্গীর ভাদাম রোডের ভাঙ্গাচোড়া সড়কের মতই এর নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের যে পাইপ বসানো হয়েছে তাও দুর্বল ও মরচেপড়া। এখান দিয়ে চলার সময় গ্যাসের গন্ধ নাকে এসে লাগে। আর বৃষ্টি হলে বুদবুদ আকারে তা বের হতে থাকে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বৃষ্টি হলে এখান থেকে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হয়। কেউ দিয়াশলাই জ্বালিয়ে ওখানে ফেললে আগুন আর ধোয়ার মত হয়।
তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াব বলেন, অপরিকল্পিত বাড়িঘরে অপরিকল্পিত এই ইউটিলিটি লাইনগুলো বসানোর জন্যই আমরা আজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। প্রায় ৪ লক্ষ রাইজার আমরা অনুসন্ধান করেছি। এরমধ্যে ৭ শতাংশের বেশি রাইজারে আমরা লিকেজ পেয়েছি। আর কোন লিকেজ আসছে কিনা তার জন্য এই ৪ লক্ষ রাইজারকে আমরা মনিটরিং করছি।
তবে, নিয়মিত তদারকি করা হয়, তিতাসের এমন দাবিতে আস্থা নেই ভোক্তা অধিকার সংগঠন-ক্যাবের। সংগঠনটির জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক সামসুল আলম বলেন, একটা রাইজার থেকে ১০-১২টা কানেকশন দিয়ে তারা পয়সা নিচ্ছে। ৭০ হাজার লিকেজ থাকলে তারা শুধু জনগণকেই গ্যাস দিচ্ছেনা, ঢাকার বায়ুমন্ডলেও তারা গ্যাস বিলিয়ে দিচ্ছে। যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের সেবা করার কথা, সেই নেটওয়ার্কের এরকম বিপর্যয় করে, মৃত্যুফাঁদ করে আমাদের জীবন দিতে হচ্ছে। আমরা বলছি এ ঘটনা হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

গাজা-লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে  ৪৪ হাজার

দখিনের সময়  ডেস্কঃ গাজা-লেবাননে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় প্রাণ গেছে ৮৮ ফিলিস্তিনির। খবর...

রয়্যাল এনফিল্ডের বৈদ্যুতিক বাইক আসছে

দখিনের সময় ডেস্ক: বৈদ্যুতিক বাইকের বাজারে ইতোমধ্যেই পা রেখেছে রিভল্ট এবং ওলা। ওলার বাইক বাজারে না এলেও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে কম জ্বালানি খরচ নজর কেড়েছে...

দুধের বিকল্প হিসেবে যা খেতে পারেন

দখিনের সময় ডেস্ক: উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ বর্তমানে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এটি বাদাম, ওট, নারিকেল বা মটরশুঁটি যাই হোক না কেন, দুধের এই বিকল্পগুলো স্বাস্থ্যকর ডায়েট...

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতাদের সাক্ষাৎ

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীর দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠান...

Recent Comments