মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে সরকার। নিশেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জন্য প্রনোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও প্রায় নদীতে চলছে ইলিশ ধরার তান্ডব। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে জেলা-জরিমানা করা হচ্ছে। নদীতে টহল দিচ্ছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য। কিন্তু প্রত্যাশিত মাত্রায় ঠেকানো যাচ্ছে না মা ইলিশ নিধন।
মাদারীপুরের শিবচর পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯ জন জেলেকে ১ বছর কর কারাদন্ড ও ১ জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করে জেলা ও উপজেলা মৎস বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মানদীতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার রাত সাড়ে ১২ টা থেকে রবিবার সন্ধা পর্যন্ত জেলা-উপজেলা মৎস বিভাগ ও ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৪০ জন জেলেকে আটক করা হয় এবং মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে। পরে আটককৃত ৩৯ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত আর ১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। জব্দকৃত ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৩৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নড়াইলে চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীতে চারজন ও মুন্সিগঞ্জের পদ্মায় ১১৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় ২ লাখ ৭০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২শ’ ৬৬ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
নড়াইলে রবিবার দিবাগত রাতে নড়াইলের জামরিলডাঙ্গা এলাকা থেকে বারইপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছ ও বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়। এ সময় ৪ জনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। মুন্সিগঞ্জের পদ্মানদীতে অভিযান চালিয়ে ১১৬ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এছাড়া কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ জব্দ করা হয়।