স্টাফ রিপোর্টার:
পাইকারি এবং খুচরা বাজারে কমছে না আলুর দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুণতে হবে। এদিকে প্রশাসন বলছে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
মৌসুমের শেষের দিকে সরকার হঠাৎ করে আলুর দাম কমিয়ে দেয়ায় হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে লোকসানে পড়েছেন বলে জানান আলু চাষিরা। সরকারি ঘোষণার পর বিভিন্ন হিমাগারে ৬০ কেজির প্রতি বস্তা আলুর দাম ৫-৬শ’ টাকা কমলেও সরকারের বেধে দেয়া দাম মানা হচ্ছে না। ক্রেতারা জানান, জেলার পাইকারি বাজারে দেশি আলু ৩৮ টাকা এবং হলান্ড আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে আরো ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম ও পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়তি।
সরকার নির্ধারিত আলু কোল্ডস্টোরে ২৩, পাইকারি ২৫ ও খুচরা বাজারে ৩০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও আলু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তা মানছে না। কোল্ডস্টোর গুলোতে আলু থাকলেও সিন্ডিকেট করে গত কয়েকদিন বাজারে আলু সরবরাহ না করার অভিযোগ পাইকারদের।
যেসব কোল্ড স্টোরেজে আলো আছে সেগুলোরতে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিলেন সাতক্ষীরা বড় বাজারের কাঁচা ও পাকামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী কবিরুল হাসান বাদশা। একইসাথে তিনি বলে, কোল্ড স্টোরেজে দাম কমে গেলে পুরো দেশেই দাম কমবে। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে আরো কঠোর হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।