স্বৈরাচারের দোসর’ তকমায় অনেক দক্ষ কর্মকর্তারাও সাইজ
দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
পলাতক স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে প্রশাসনে একে অন্যকে সাইজ করার জন্য ‘জামায়াত-বিএনপি’ তকমা দেওয়া হতো। এ তকমা দেওয়ার হোতারা ছিলেন আসলে ধান্দাবাজ। নানান কিসিমের ধান্দাবাজের ফাঁদে পা দিলে যে কী পরিণতি হয়, তা তো অকাট্যভাবে প্রমাণ করে গেছেন উড়ন্ত পলায়নের মধ্য দিয়ে দুরন্ত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এই বাস্তবতা বিবেচনায় না রাখলে নানান ধরনের বিপত্তি যে ঘটতে পারে, তার বহু আলামত কিন্তু এরই মধ্যে বেশ স্পষ্ট।
এদিকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’—একই তকমার বাতাসে যে কেবল হাসিনার অতি ভক্তরা কুপোকাত হচ্ছেন, হবেন- কেবল তা কিন্তু নয়। বরং অনেক সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাও সাইজ হয়েছেন, হচ্ছেন। প্রসঙ্গক্রমে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া এ আমলার দক্ষতা ও সততার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবারই জানা। কিন্তু ওই অতিরিক্ত সচিবকে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিব করার দুদিনের মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। নিয়োগের দুদিনের মাথায় একজন সচিবকে পত্রপাঠ বিদায় করার যুক্তি কী? গুরুতর অপরাধ থাকলে তাকে অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব করা হলো কেন! এ কি ওপরের কর্তাদের অদক্ষতা, নাকি প্রশাসনে নতুন দলবাজ চক্র আবার দানব হয়ে উঠেছে? স্মরণ করা যেতে পারে, সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের আমলে ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতো। এ কারণে এরশাদ আমলে বিদ্রুপ করে ‘সিএমএলএ’-এর অ্যাব্রেবিয়েশন করা হয়েছিল, ‘ক্যানসেল মাই লাস্ট অ্যানাউন্সমেন্ট।’ বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, সামরিক সরকার যেসব কাণ্ড করে পার পেয়ে যায়, তা কিন্তু অন্য সরকারের বেলায় হওয়ার নয়।